You are currently viewing এই জাতি কার্যত মুশরিক
এই জাতি কার্জত মুশরিক

এই জাতি কার্যত মুশরিক

এই জাতি কার্যত মুশরিক

আরও একটি পরিবর্ত্তন এলো। প্রথমে সমস্ত মানব জাতির উপর এই শেষ জীবন ব্যবস্থা প্রবর্ত্তন কোরে পৃথিবীময় ন্যায় ও শান্তি (ইসলাম) প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও সশস্ত্র সংগ্রাম ছেড়ে দিয়ে এই জাতি উম্মতে মোহাম্মদীর সংজ্ঞা থেকে বিচ্যুত হোয়ে গিয়েছিল, রোয়ে গিয়েছিলো মুসলিম হোয়ে। অর্থাৎ ঐ শেষ জীবন ব্যবস্থা তাদের জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবনে কার্যকরী রোইলো। কাজেই তারা মুসলিম কিন্তু আল্লাহর দেয়া উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনের সংগ্রাম ত্যাগ করার ফল হিসাবে আকীদা বিকৃত হোয়ে দীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করার ফলে, বিকৃত সুফী মতবাদের প্রভাবে ঐক্যহীন একটি স্থবির প্রাণহীন জনসংখ্যায় পরিণত হলো যেটা শত্রুর আক্রমণের মুখে সহজেই ভেঙ্গে পড়লো। কিন্তু এই বার শত্রু যখন তাদের নিজের তৈরী আইন ও শাসন ব্যবস্থা তাদের দাস জাতির উপর প্রবর্ত্তন করলো তখন এই জাতি আর ঐ মুসলিমও রোইলো না, হোয়ে গেলো তাদের প্রভুদের মত মুশরিক ও কাফের। পূর্ববর্তী দীন গুলির বিকৃত অবস্থা ও মানুষের তৈরী আইন-কানুন ধ্বংস কোরে আল্লাহর পাঠানো আইন কানুন প্রবর্ত্তন কোরে পৃথিবীময় শান্তি (ইসলাম) প্রতিষ্ঠা যে জাতির দায়িত্ব সেই জাতিই যদি জাতীয় জীবনে ঐ আইন-কানুন পরিত্যাগ কোরে যে আইন-কানুন ধ্বংস করার কথা সেই আইন কানুন গ্রহণ করে তবে সে জাতির রইলো কি? জাতীয় জীবনে মানুষের তৈরী, ইউরোপের তৈরী আইন-কানুন গ্রহণ কোরে এই জাতি কার্যত মুশরিক ও কাফের হোয়ে গেলো এবং সেই যে মুশরিক ও কাফের হলো তা থেকে সে আজও প্রত্যাবর্ত্তন করে নি, আজও সেই মুশরিকই আছে।

আমি সম্পূর্ণ সচেতন, আমি কী লিখছি। এই কথায় এই জাতিটি, যেটি নিজেকে শুধু মো’মেন ও মুসলিম নয় একেবারে উম্মতে মোহাম্মদী বোলে আহাম্মকের স্বর্গে বাস কোরছে, সেটা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবে। কারণ আমার কথায় গত কয়েকশ বছরের মধ্যকার বেশীরভাগ পীর, দরবেশ, সুফী, তথাকথিত আলেম, মাশায়েখ, ফকীহ ইত্যাদি সবাই এসে যাচ্ছেন। কিন্তু উপায় কি? যে সত্য আল্লাহ আমাকে তার অসীম অনুগ্রহে উপলব্ধি কোরিয়েছেন তা আমাকে বোলতে হবে। আজ যদি হিন্দুদের (যদিও হিন্দু বোলে কোন ধর্ম নেই) বলা যায় নিজের দেহের ভেতরে এই বিশাল সৃষ্টির স্রষ্টার আত্মা নিয়ে হাতে তৈরী কাঠ পাথরের মুর্ত্তির পায়ে প্রণত হোয়ে স্রষ্টাকে অপমান করছো, খ্রীস্টানকে বলা যায় যিশুকে (আ:) স্রষ্টার সন্তান বোলে বিশ্বাস কোরে যিশুকেই তার স্রষ্টার কাছে লজ্জিত করছো তবে তাদের যে মনোভাব হবে, নিজেদের মুসলিম, উম্মতে মোহাম্মদী বোলে বিশ্বাসী এই জাতিটাকে তোমরা কার্যত মুশরিক বোললে এদেরও ঠিক সেই মনোভাবই হবে। কোন সন্দেহ নেই যে এই জাতিটা ইউরোপের দাসে পরিণত হবার পরও বহু লোক আল্লাহ ও তার রসূলে (সা:) পরিপূর্ণ বিশ্বাসী ছিলো, কিন্তু সে বিশ্বাস ছিলো ব্যক্তিগতভাবে, জাতিগত ভাবে নয়। কারণ জাতিগত ভাবে
তাদের রাজনৈতিক আর্থ সামাজিক ও শিক্ষা ব্যবস্থা তো তখন ইউরোপীয়ান খ্রীস্টানদের হাতে এবং তারা ইসলামী ব্যবস্থা বোদলে নিজেদের তৈরী ব্যবস্থা এই জাতির জীবনে প্রতিষ্ঠা কোরেছে। জাতীয় জীবন থেকে আল্লাহর দেয়া রাজনৈতিক, আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা কেটে ফেলে শুধু ব্যক্তিগত জীবনে তা বজায় রাখলে আল্লাহর চোখে মুসলিম বা মো’মেন থাকা যায় কিনা এ প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর হোচ্ছে- না, থাকা যায় না। তার বই কোর’আনে আল্লাহ বোলেছেন- তোমরা কি বইয়ের (কোর’আনের) কিছু অংশ বিশ্বাস কর, আর কিছু অংশ বিশ্বাস কর না? যারা তা করে (অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ সমূহের এক অংশ বিশ্বাস করে না বা তার উপর আমল করে না) তাদের প্রতিফল হোচ্ছে এই পৃথিবীতে অপমান, লাঞ্ছনা এবং কেয়ামতের দিনে কঠিন শাস্তি। তোমরা কী করছ সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখেয়াল নন(সুরা বাকারা-৮৫)। লক্ষ্য কোরুন, আল্লাহ পরিষ্কার ভাষায় কী বোলেছেন। তার আদেশ নিষেধ গুলির কতক গুলি মেনে নেয়া আর কতক গুলিকে না মানার অর্থ আল্লাহকে আংশিকভাবে মানা অর্থাৎ শেরক। তারপর বোলছেন এর প্রতিফল শুধু পরকালেই হবে না এই দুনিয়াতেও হবে আর তা হবে অপমান ও হীনতা। আল্লাহ মো’মেনদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উভয় দুনিয়াতে অন্য সবার উপরস্থান ও সম্মান। এ প্রতিশ্রুতি তার কোর’আনের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। এখন যদি এই লোক গুলিকে তিনি বলেন, তোমাদের জন্য এই দুনিয়াতে অপমান ও কেয়ামতে কঠিন শাস্তি, শব্দ ব্যবহার কোরেছেন ‘শাদীদ’ ভয়ংকর তবে আল্লাহ তাদের নিশ্চয়ই মো’মেন বোলে স্বীকার কোরছেন না। যদিও তাদের ব্যক্তিগত জীবনে আল্লাহর আইন-কানুন (শরীয়াহ) তারা পুংখানুপুংখভাবে মেনে চলেন।

আল্লাহ কোর’আনে আরো বোলেছেন- হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা পূর্ণভাবে সম্পূর্ণভাবে ইসলামে প্রবিষ্ট হও(সুরা বাকারা – ২০৮)। আকীদা বিকৃতি হোয়ে যাওয়ার ফলে আজ আল্লাহর এই আদেশের অর্থ করা হয় এই যে, ইসলামের খুঁটিনাটি ব্যাপার গুলি পালন কর। আসলে এই আয়াতে আল্লাহ মো’মেনদের অর্থাৎ যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে তাদের বোললেন যে, ইসলামকে অর্থাৎ আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানকে সম্পূর্ণ ও পূর্ণভাবে গ্রহণ কর এর কোন একটা অংশকে নয়। শুধু জাতীয়, রাষ্ট্রীয় অংশটুকু নয় ব্যক্তিগত অংশকে বাদ দিয়ে, কিম্বা শুধু ব্যক্তিগত অংশটুকু নয়, জাতীয় অংশকে বাদ দিয়ে। ঐ কথার পরই তিনি বোলছেন- এবং শয়তানের কথামত চলো না। অর্থাৎ ঐ আংশিকভাবে ইসলামে প্রবেশ কোরলে তা শয়তানের অনুসরণ করা হবে, শয়তানের কথামত চলা হবে। শয়তান তাই চায়, কারণ আংশিকভাবে অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে আল্লাহর আইন, বিধান প্রতিষ্ঠা না কোরে শুধু ব্যক্তিগত জীবনে তা মেনে চোললে সুবিচার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে না এবং ফাসাদ ও সাফাকুদ্দিমা চোলতেই থাকবে। যেমন আজ শুধু পৃথিবীতে নয়, মুসলিম নামের এই জাতিতেও নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ও অন্যান্য খুঁটিনাটি পূর্ণভাবে পালন করা সত্ত্বে আল্লাহকে দেয়া তার চ্যালেঞ্জে শয়তান আপাততঃ জিতে আছে। সুতরাং এই জাতি (উম্মাহ) যখন ইউরোপীয়ানদের কাছে যুদ্ধে হেরে যেয়ে তাদের দাসে পরিণত হলো এবং তাদের রাজনৈতিক, আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা যখন তাদের বিদেশী প্রভূরা পরিবর্ত্তন কোরে তাদের নিজেদের তৈরী ব্যবস্থা প্রবর্ত্তন করলো, তখন আর এই জাতি মুসলিমও রইলো না, হোয়ে গেল মুশরিক এবং কাফের। এদেরকে যে আর উম্মতে মোহাম্মদী তো নয়ই এমনকি মুসলিম বা প্রকৃত মো’মেনও বলা যাবে না তার আরও একটি প্রধান কারণ আছে। প্রত্যেক জাতির নেতাও সেই সেই জাতির অন্তর্ভূক্ত। সে হিসাবে বিশ্বনবী (সা:) এই জাতির অন্তর্ভুক্ত। তাহোলে বোলতে হয় আল্লাহ নবীদের নেতা, মানব জাতির শ্রেষ্ঠতম মানুষ, স্রষ্টার প্রিয় বন্ধু- তারপরই যার স্থান, তিনি ইউরোপীয়ান খ্রীস্টানদের ঘৃণিত দাসজাতির নেতা। এ অসম্ভব। পৃথিবীর যে কেউ মানতে পারে মানুক, আমি মানি না। এর একমাত্র উত্তর হোচ্ছে তিনি ঐ দাস জাতির নেতা নন এবং ঐ দাস জাতি তার জাতি নয়। ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ঐ নবী (সা:) বোলেও গেছেন। তিনি বোলেছেন- সে জাতি কেমন কোরে ধ্বংস হবে যার প্রথমে আমি মধ্যে মাহদী আর শেষে ঈসা। কিন্তু এদের ফাঁকে (অর্থাৎ মধ্যবর্তী) যারা তারা আমার নয় আমিও তাদের নই(হাদীস- জাফর (রা:) থেকে রাযিন মেশকাত)। যারা মহানবীর (সা:) নয় এবং মহানবী (সা:) যাদের নন তারা যে উম্মতে মোহাম্মদী তো নয়ই, মুসলিমও যে নয় তা তো আর ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বনবীর (সা:) সঙ্গী (আসহাব) অবস্থায় ও বিশ্বনবীর (সা:) পর সংখ্যায় সামান্য হোয়েও, সর্বদিক দিয়ে নগণ্য হোয়েও তাদের চেয়ে সংখ্যায়, অস্ত্রে, সামরিক শিক্ষায় শ্রেষ্ঠ বহু শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রতিবার জয়ী জাতিটি ছিলো তার (সা:) উম্মাহ। তারপর যখন জাতিটি আয়তনে বিরাট হলো, সংখ্যায়, অস্ত্রেশেস্ত্রে, সম্পদে অতুলনীয় হওয়া সত্ত্বেও তাদের চেয়ে অনেক ছোট শত্রুর কাছে পরাজিত হোয়ে তাদের ক্রীতদাসে পরিণত হলো, তখন আর সেটা তার (সা:) উম্মাহও নেই মুসলিমও নেই। তাই সেই ঘৃণিত দাস জাতির সঙ্গে একই সাথে চিহ্নিত না হওয়ার জন্য তিনি (সা:) বোলছেন তারা আমার নয়, আমিও তাদের নই। কিন্তু তিনি (সা:) অস্বীকার কোরলে কি হবে, ঐ দাস জাতির সাধারণ মানুষ ও ফকীহ, মুফাস্সির, মুহাদ্দিস, মুফতি, পীর, মাশায়েখ, ইউরোপীয়ান খ্রীস্টানদের গোলাম অবস্থায় থেকেই তাকে (সা:) তাদের নেতা বোলে পরিচয় দিয়ে তাকে (সা:) অসম্মান, অপমান কোরে আসছে কয়েক শতাব্দী ধোরে।

মোট কথা এই জাতির জন্ম হোয়েছিলো পূর্ববর্ত্তী দীন গুলির বিকৃত অবস্থা ও পরবর্ত্তীতে মানুষের তৈরী জীবন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পৃথিবীময় এই শেষ দীনকে প্রতিষ্ঠা কোরে ন্যায়, শান্তি, সুবিচার সুনিশ্চিত করার জন্য। আল্লাহ তার শ্রেষ্ঠ নবীকে (সা:) পাঠিয়েই ছিলেন এই কাজ করার জন্য
এ সম্পর্কে আল্লাহ বলছেন- “তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি এটাকে সকল দীনের উপর বিজয়ী করতে পারেন। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।”(সূরা আল ফাতাহ – ২৮)
যে কাজের দায়িত্ব পরে এসে পড়লো তাঁর জাতির উপর এবং জাতি তা পালনও করলো ৬০/৭০ বছর পর্য্যন্ত। কিন্তু তারপর ঐ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভুলে যাবার ফলে আকীদা বিকৃত হোয়ে যাবার ফলে যখন সব কিছু নষ্ট হোয়ে গেলো শত্রুর কাছে সামরিকভাবে পরাজিত হোয়ে তাদের গোলামে পরিণত হলো তখন আর ঐ জাতি মুসলিমও রোইলো না, মো’মেনও রইলো না, উম্মতে মোহাম্মদী তো দূরে কথা। কারণ যে জীবন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার কথা সেই গায়রুল্লাহর তৈরী জীবন ব্যবস্থাকে গ্রহণ করার পর ঐ জাতির অস্তিত্বের আর কোন অর্থ থাকে না, অর্থ রোইল না। ইউরোপীয়ান খ্রীস্টানদের দাসে পরিণত হবার পরও এ জাতির চোখ খুললো না। মনে এ চিন্তাও এলো না যে, একি? আমার তো অন্য জাতির গোলাম হবার কথা নয়। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি তো এর উল্টো, আমাকেই তো পৃথিবীর সমস্ত জাতির উপর প্রাধান্য দেবার প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়ে ছিলেন। আমরা যখন মুষ্টিমেয় ছিলাম তখন তো আমাদের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারে নি। ঐ মুষ্টিমেয় যোদ্ধার কারণে আমরা পৃথিবীর একটা বিরাট অংশে প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিলাম। কিন্তু কোথায় কি হলো? সেই মুষ্টিমেয়র কাছে পরাজিত শত্রু আজ আমাদের জীবন বিধাতা। এসব চিন্তা এ জাতির মনে এলো না কারণ কয়েক শতাব্দী আগেই তাদের আকীদা বিকৃত হোয়ে গিয়েছিলো। কোর’আন হাদীসে পুংখানুপুংখ বিশ্লেষণ কোরে পণ্ডিতরা এ জাতির এক অংশের আকীদা এই কোরে দিয়েছিলেন যে, ব্যক্তিগতভাবে খুঁটিনাটি শরীয়াহ পালন কোরে চোললেই “ধর্ম পালন” করা হয় এবং পরকালে জান্নাত লাভ হবে। অন্যদিকে ভারাসাম্যহীন বিকৃত তাসাওয়াফ অনুশীলনকারীরা জাতির অন্য অংশের আকীদা এই কোরে দিয়েছিলেন যে, দুনিয়াবিমুখ হোয়ে নির্জনতা অবলম্বন কোরে ব্যক্তিগতভাবে আত্মার ঘষামাজা কোরে পবিত্র হোলেই “ধর্ম পালন” করা হয় ও আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। জাতীয় জীবন কোন্ আইনে চোলছে, কার তৈরী দণ্ডবিধিতে (Penal code) আদালতে শাস্তি হোচ্ছে তা দেখবার দরকার নেই। এই আকীদা (Attitude, Concept) দৃষ্টিভঙ্গি যে বিশ্বনবীর (সা:) শিক্ষার বিপরীত তা উপলব্ধি করার শক্তি তখন আর এ জাতির ছিলো না। কারণ ফতোয়াবাজীর জ্ঞানই যে একমাত্র জ্ঞান, পৃথিবীর অন্যান্য কোন জ্ঞানের প্রয়োজন নেই, পণ্ডিতদের এই শিক্ষার ও ফতোয়ার ফলে এই জাতি একটি মুর্খ জাতিতে পর্যবসিত হোয়ে গিয়েছিলো, দৃষ্টি অন্ধ হোয়ে গিয়েছিলো। স্থানে স্থানে কিছু সংখ্যক লোক বাদে সমস্ত জাতিটাই এই অজ্ঞানতার ঘোর অন্ধকারের মধ্যে বোসে ভারবাহী পশুর মত ইউরোপীয়ান প্রভূদের পদসেবা করলো কয়েক শতাব্দী ধোরে। এই কয়েক শতাব্দীর দাসত্বের সময়ে এই জাতি অকৃত্রিম হৃদয়ে তার খ্রীস্টান প্রভুদের সেবা কোরেছে। প্রভুরা যখন নিজেদের মধ্যে মারামারি কোরেছে তখন এরা যার যার প্রভুর পক্ষ নিয়ে লড়েছে ও প্রাণ দিয়েছে। যে মহামূল্যবান প্রাণ শুধুমাত্র পৃথিবীতে শান্তি (ইসলাম) প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে উৎসর্গ করার কথা সে প্রাণ এরা দিয়েছে ইউরোপীয়ান খ্রীস্টান প্রভূদের সাম্রাজ্য বিস্তারের যুদ্ধে, প্রভূদের নিজেদের মধ্যে মারামারিতে। আল্লাহর শাস্তি কী ভয়ংকর।

Leave a Reply