You are currently viewing বানরের মত অনুকরণ- প্রাচ্যের নেতৃত্বের ব্যর্থতার করণ

বানরের মত অনুকরণ- প্রাচ্যের নেতৃত্বের ব্যর্থতার করণ

বানরের মত অনুকরণ- প্রাচ্যের নেতৃত্বের ব্যর্থতার করণ

বর্ত্তমানে ‘মুসলিম’ দুনিয়ার নেতৃত্ব তাদের সীমাহীন হীনমন্যতায় তাদের যার যার জাতি গুলিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন তা একবার দেখা দরকার। এরা তাদের প্রকৃত এলাহ অর্থাৎ জাতীয় জীবনের এলাহ পাশ্চাত্যের বস্তুতান্ত্রিক জুডিও খ্রীস্টান সভ্যতার কাছ থেকে শিখেছেন যে পার্থিব, অর্থনৈতিক উন্নতিই হোচ্ছে মানব জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। একে এরা নাম দিয়েছেন জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন। পাশ্চাত্যের মানুষের দর্শন হোচ্ছে কঠিন পরিশ্রম কোরে যতপার উপার্জন কর, ঐ উপার্জনের টাকায় যতখানি পার জীবন উপভোগ কর, তারপর আয়ু ফুরিয়ে গেলে মরে যাও। প্রাচ্যের বর্ত্তমান নেতৃত্ব তাদের শিক্ষকের কাছ থেকে জীবনের ঐ দর্শন খুব ভালো কোরেই শিখেছেন, তাদের দৃষ্টিতে মানব জীবনের উন্নতির একটি মাত্র অর্থ আছে, আর তা হোচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নতি। এটা শুধু তথাকথিত মুসলিম নেতৃত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। পাশ্চাত্য সামরিক শক্তিতে প্রাচ্যের যত দেশই জয় কোরেছিলো, সর্বত্রই তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার বদৌলতে জীবনের ঐ বস্তুতান্ত্রিক দর্শন প্রতিষ্ঠা কোরেছে। মো’মেন জাতির জীবনের উদ্দেশ্য যে জীবন উপভোগের উল্টো, অর্থাৎ মানুষজাতির সমস্ত অন্যায়, রক্তপাত, যুদ্ধ, অশান্তি বন্ধ কোরে শান্তি (ইসলাম) স্থাপন কোরে ইবলিসের চ্যালেঞ্জে আল্লাহকে জয়ী করার জন্য নিজেদের কোরবাণী করা তা ঐ হীনমন্যতায় অন্ধ নেতৃত্বের মগজে প্রবেশ করে না। কারণ নিজেদের জীবন-ব্যবস্থায়, দীনের শুধু প্রক্রিয়ার ভাগ, তাও শুধু বক্তিগত প্রক্রিয়ার ভাগটা অর্থাৎ নামায, রোযা, ইত্যাদি ছাড়া আর কিছুই তারা জানেন না। এই জাতির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কী সে সম্বন্ধে তাদের অজ্ঞতা পরিপূর্ণ। মুখে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বোলে, আল্লাহর সরাসরি হুকুম, আদেশ গুলিকে অবজ্ঞাভরে দূরে ফেলে দিয়ে সেখানে পাশ্চাত্য প্রভুদের নির্দেশকে কার্যকরী কোরে তারা তাদের নিজেদের দেশ গুলির অর্থনৈতিক উন্নতির, ‘জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের’ জন্য উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে চলেছেন।

পারছেন না। শুধু যে পারছেন না তাই নয়। পাশ্চাত্য প্রভুরা তাদের শাসন ও শোষণ করার পর তাদের সৃষ্ট তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী শ্রেণীটির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে যাবার সময় এই দেশ গুলির যেটুকু অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ছিলো, আজ ৭০/৮০ বছর পর সেটুকুও অবশিষ্ট নেই। সেদিন যতলোক অর্দ্ধাহারে, অনাহারে থাকতো আজ তার চেয়ে বেশী স্ত্রী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে অর্দ্ধাহারে, অনাহারে থাকে। পাশ্চাত্য প্রভূরা চলে যাবার দিন এই দেশ গুলির উপর কোন ধার কর্জ ছিল না। আজ পাশ্চাত্যের কাছে ঋণ, ধার-কর্জে এদের হাড়গোড় পর্য্যন্ত দায়বদ্ধ হোয়ে গেছে এবং ঐ বিরাট ঋণ শোধ দেবার ক্ষমতা বহু পূর্বেই শেষ হোয়ে গেছে। মাঝখান থেকে আত্মার ও চরিত্রের যেটুকু পরিচ্ছন্নতা ছিলো পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রভাবে তাও হারিয়ে গেছে। পাশ্চাত্য প্রভুরা চলে যাবার দিনটির চেয়ে প্রতিটি তথাকথিত মুসলিম দেশে অন্যায়, খুন-জখম, রাহাজানী, ব্যভিচার, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ইত্যাদি আজ বহু গুণ বেশী, এটা যে কোন পরিসংখ্যান দেখলেই দেখা যাবে। প্রত্যেকটি জাতির নৈতিক চরিত্র আজ অধঃপতিত। তাহোলে নেতৃত্ব এই দেশ গুলিকে কি দিলেন? চরিত্র, আত্মা বিক্রী কোরে দিয়ে যদি অর্থনৈতিক উন্নতি, তাদের ভাষায় জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন কোরতে পারতেন, তবু না হয় এরা কিছু বোলতে পারতেন, (যদিও মুসলিম জাতি তা পারে না)। কিন্তু তাও তো পারেন নি। দু’টোই তো অধঃগামী, নিম্নমুখী। এই নেতৃত্ব চোখ-কান বুঁজে তাদের দেশে পাশ্চাত্যের অনুকরণে কল-কারখানা বসাচ্ছেন, ফ্যাক্টরি চালু কোরছেন, কৃষি ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য ট্রাক্টর আমদানী কোরছেন। কারণ তাদের প্রভুদের কাছে থেকে তারা শিখেছেন যে কল-কারখানা, ফ্যাক্টরীই হোচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নতির একমাত্র উপায়। ঐ উপায়ে অর্থনৈতিক উন্নতির চেষ্টায় তারা স্বভাবতঃই প্রভুদের সুদভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ কোরে যার যার দেশে চালু কোরেছেন। যেহেতু পাশ্চাত্য প্রভুরাই এই নেতৃত্বের আসল অর্থাৎ জাতীয় জীবনের প্রভু, ইলাহ তাই অন্য ইলাহ অর্থাৎ আল্লাহর সরাসরি হুকুম- “তোমরা সুদ খোয়োনা”(সুরা আল বাকারা-২৭৫, সুরা আলে ইমরান-১৩০) অর্থাৎ জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবনে সুদকে হারাম কোরে দেওয়াটা তাদের কাছে কোন চিন্তার বিষয়ই নয়। পাশ্চাত্য প্রভুরা যেটাকে ঠিক বোলেছেন, কবেকার সেই পুরোনো আল্লাহ নিষেধ কোরলেই তা বাদ দিবেন এমন অশিক্ষিত বোকা ‘মুসলিম’ তারা নন।

এই যে তথাকথিত মুসলিম দেশ গুলির বর্ত্তমান নেতৃত্বের করুণ ব্যর্থতা, এই যে ঈমান, চরিত্র, আত্মা বিকিয়ে দিয়েও হাড্ডি-গোশত পর্য্যন্ত ঋণে দায়বদ্ধ হোয়েও পার্থিব সম্পদ লাভের ব্যর্থতা, এই হোচ্ছে ‘মুসলীম’ বিশ্বের মোশরেক ও কাফের নেতৃত্বের নেট ফল। প্রশ্ন হোতে পারে বস্তুতান্ত্রিক পাশ্চাত্য জগত ঐ কল-কারখানা, ফ্যাক্টরী ইত্যাদি দিয়েই অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সফল হলো কেন? এর জবাব হোচ্ছেঃ
পাশ্চাত্য জাতি গুলি তাদের ভৌগোলিক রাষ্ট্রে (Nation State) বিশ্বাসী, এবং ঐ ভৌগোলিক রাষ্ট্রের স্বার্থকে তাদের অধিকাংশ মানুষ তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের উপর স্থান দেয়। আমার লাভ হবে কিন্তু রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে এমন কাজ তাদের অধিকাংশ লোকেই কোরবে না। তাদের বিদ্যালয়, স্কুল-কলেজে, ছোট বেলা থেকেই কতক গুলি বুনিয়াদী শিক্ষা এমনভাবে তাদের চরিত্রের মধ্যে গেথে দেওয়া হয় যে, তা থেকে কিছু সংখ্যক অপরাধী চরিত্রের লোক ছাড়া কেউ মুক্ত হোতে পারে না। ফলে দেখা যায় যে ওসব দেশের মদখোর, মাতাল, ব্যভিচারীকে দিয়েও তার দেশের, জাতির ক্ষতি হবে এমন কাজ করানো যায় না, খাওয়ার জিনিষে ভেজাল দেওয়ানো যায় না, মানুষের ক্ষতি হোতে পারে এমন জিনিষ বিক্রিকরানো যায় না ইত্যাদি। পক্ষান্তরে প্রাচ্যের এই ‘মুসলিম’ দেশ গুলির নেতৃত্ব এখনও সেই ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখেছেন, যার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিলো একটি কেরানী শ্রেণী সৃষ্টি করা, প্রভুদের শাসন যন্ত্রকে চালু রাখার জন্য। সে শিক্ষা ব্যবস্থায় লেখাপড়া, ভাষা, অংক, ভূগোল, কিছু বিজ্ঞান, কিছু বিকৃত ইতিহাস শিক্ষা দেওয়া হতো। কিন্তু চরিত্র গঠনের কোন শিক্ষা তাতে ছিলো না এবং আজও নেই। কাজেই, স্বভাবতঃই পাশ্চাত্যের শিক্ষালয় গুলির ছাত্র-ছাত্রীরা সুশৃঙ্খল, প্রাচ্যের উশৃঙ্খল, সেখানে লেখাপড়া হয়, এখানে রাজনীতি, ছুরি মারামারি, গোলা গুলি হয়, পাশ্চাত্যের শিক্ষালয় গুলি থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা একটা চরিত্র নিয়ে বের হয় প্রাচ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা চরিত্রহীন হোয়ে বের হয়। এরা যখন সরকারী, বেসরকারী চাকরিতে যোগ দেয়, রাজনৈতিক নেতৃত্ব লাভ করে তখন স্বভাবতঃই প্রাচ্য-পাশ্চাত্য কোন আদর্শ দিয়েই পারিচালিত হয় না। রাষ্ট্রের স্বার্থকে নিজের স্বার্থের ওপরে স্থান দেওয়ার পাশ্চাত্য শিক্ষা পায়নি বোলে রাষ্ট্রের ক্ষতি কোরেও নিজের স্বার্থ উদ্ধার করে। অন্যদিকে ইসলামের শিক্ষা পায়নি বোলে ঘুষ খায়, মিথ্যা বলে, ইসলামের যা কিছু আছে তার বিরুদ্ধাচারণ করে। কাজেই পাশ্চাত্য যা কোরে সফল, প্রাচ্য তাই কোরতে যেয়ে ব্যর্থ। এই নেতৃত্ব মাছিমারা কেরাণীর মত (প্রভুদের কেরাণীকুল সৃষ্টির শিক্ষা ব্যবস্থা কতখানি সফল হোয়েছিলো, তার প্রমাণ এইখানেই) পূর্ব প্রভূদের এমন নিখুঁত অনুকরণ করেন যে কোন কোন ক্ষেত্রে তা করুণ হোয়ে দাঁড়ায়। এর মাত্র একটা এখানে আলোচনা কোরছি। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা (ভৌগোলিক রাষ্ট্র নয়) রাষ্ট্র প্রধান অর্থাৎ খলিফা রাষ্ট্র থেকে ভাতা পাবেন একজন সাধারণ মানুষের প্রয়োজন মোতাবেক, অর্থাৎ জীবনের মৌলিক প্রয়োজন, খাবার, কাপড়, বাসস্থান ইত্যাদি। কোন বিলাসিতা, আড়ম্বর, কোন জাক-জমকের জন্য রাষ্ট্র খরচ বহন কোরবেন না। প্রকৃত ইসলামের যুগে খলিফারা এর বেশী পাননি। মৌলিক প্রয়োজনের মধ্যে বাসস্থানটাও তারা পান নি। কারণ খলিফা হবার আগে তাদের নিজেদের যে বাড়ী ছিলো তারা তাতেই থাকতেন এবং তা প্রায় কুড়েঘরের পর্য্যায়ের ছিলো। তারপর উম্মতে মোহম্মদী যখন তাদের নেতার (সা:) আরদ্ধ কাজ কোরতে কোরতে আটলান্টিকের সমুদ্রতট থেকে চীনের সীমান্ত পর্য্যন্ত এই জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করলো তখন পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি হোয়ে দাঁড়ালো এই উম্মাহ, তখনকার দিনের বিশ্ব শক্তি (Super Power)। সামরিক ও অর্থনৈতিক এই উভয় দিক দিয়ে এই উম্মাহর সামনে দাঁড়াবার মত তখন পৃথিবীতে আর কেউ নেই। তদানিন্তন দুটো বিশ্ব শক্তিকে এই উম্মাহ, ইতিমধ্যেই পরাজিত কোরে দিয়েছ। একটি বিশ্ব শক্তি এই উম্মাহর অন্তর্ভুক্তই হোয়ে গেছে (পারস্য)। কিন্তু খলিফাদের ভাতা ঐ-ই রোইলো। আলী (রা:) পর্য্যন্ত এই মহাশক্তির নেতারা তালি দেওয়া কাপড় পরে, অর্দ্ধাহারে থেকে, কুড়ে ঘরে বাস কোরে এই মহাশক্তির নেতৃত্ব কোরে গেছেন। কিন্তু ইউরোপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্র গুলির দাসত্বের পর আবার যখন রাজনৈতিক স্বাধীনতা পাওয়া গেলো তখন এই জাতির নেতৃত্ব বাদরের মত প্রভুদের সব কিছু অনুকরণের সঙ্গে সঙ্গে তাদের নেতাদের অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, আইন সভার সদস্যদের মত মহা জাঁকজমক, চাকচিক্য ও বিলাসিতাও অনুকরণ কোরতে লাগলো। এই অন্ধ অনুকরণের প্রাণান্তকর প্রয়াসে এরা এটুকু ও বুঝলেন না যে যাদের অনুকরণ কোরতে চেষ্টা কোরছেন তারা বিরাট ধনী, তারা পৃথিবীটাকে কয়েক শতাব্দী ধোরে শোষণ কোরে সম্পদের পাহাড়ে বোসে আছে, তারা মহা শক্তিমান, তাদের ঐ আড়ম্বর, জাঁকজমক, বিলাসিতা, সাজে, এদের সাজে না, হাস্যকর। এরা অভুক্ত, অর্দ্ধভুক্ত, আধমরা জাতি গুলির নেতা।

না বুঝলেও তারা ক্ষান্ত হোলেন না। পূর্ব প্রভূদের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা যেমন সুসজ্জিত প্রাসাদে বাস করেন এরাও তাই কোরতে লাগলেন। তাদের আইন পরিষদের সদস্যরা যে মানের জীবন-যাপন করে তাই কোরতে লাগলেন। পাশ্চাত্য দেশ গুলির জনসাধারণ এই শোষিত জনগণের চেয়ে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বহু উপরে। তাদের পক্ষে তাদের সরকারের ঐ জাঁকজমক জোগান দেয়া কঠিন নয়। কিন্তু প্রাচ্যের গরীব জনসাধারণ, যাদের পরনের কাপড় নেই, পেটে খাবার নেই, তাদের পক্ষে তা অসম্ভব। কিন্তু ঐ অসম্ভবকেই তাদের সম্ভব কোরতে হোচ্ছে আরও না খেয়ে থেকে, আরও উলঙ্গ থেকে। আগে না খেয়ে টাকা যোগাত বিদেশী প্রভুদের, এখন আরও না খেয়ে থেকে কর দেয় নিজেদের নির্বাচিত সরকারকে। বিদেশী প্রভুদের যত কর দিতো, আজ নিজেদের নেতাদের জাঁকজমক, আড়ম্বর বজায় রাখতে তার চেয়ে অনেক বেশী কর দেয়। দেশী নেতাদের পাশ্চাত্যের ঠাট নকল করাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সেই সঙ্গে গরীব জনসাধারণের উপর করের বোঝাও বাড়ছে। হীনমন্যতায় অন্ধ প্রাচ্যের এই জাতি গুলির নেতৃত্ব এ কথা বুঝতে অসমর্থ যে নিজস্ব সত্ত্বা বিসর্জন দিয়ে অন্যের অন্ধ অনুকরণ যারা কোরতে চায় তাদের এটাও হয় না, ওটাও হয় না, তাদের একূল-ওকূল দু’কুলই যায়। তাই তাদের গেছে। পাশ্চাত্যের মত অর্থনৈতিক উন্নতি, তাদের ভাষায় জীবন যাত্রার মান উন্নতি হয় নি, মাঝখান থেকে বিরাট ঋণে পাশ্চাত্যের কাছে বাধা পড়ে গেছে প্রায় প্রত্যেকটি জাতি, দেশ। অন্যদিকে প্রাচ্যের জাতি গুলির যেটুকু নৈতিক চরিত্র গোলামী, দাসত্ব করার পরও অবশিষ্ট ছিলো তাও শেষ হোয়ে আসছে। একই কারণে প্রশাসনিক ব্যাপারেও একই করুণ ব্যর্থতা। যারা দাসত্বের সময়ের প্রশাসন দেখেছেন তাদের বোলতে হবে না, আর যারা দেখেনি তাদের জ্ঞাতার্থে বলা প্রয়োজন যে, জন জীবনের নিরাপত্তা, শান্তি, শৃঙ্খলায় ঐ দাসত্বের যুগ এমন ছিলো যে অনেকের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে যে এ স্বাধীনতার চেয়ে ঐ দাসত্বই ভালো ছিলো। নেতৃত্বের এই নকল করার প্রচেষ্টার ফল এই হোয়েছে যে প্রাচ্যের দেশ গুলি জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে নিম্নগামী, অধঃগামী। উর্দ্ধগামী শুধু তিনটি ক্ষেত্রে, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে, অপরাধে, খুন-জখম, ইত্যাদিতে আর পাশ্চাত্যের কাছে ঋণের, ধারের, অংকের পরিমাণে।

Leave a Reply