You are currently viewing মানব জাতির অতিত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ। ন্যয়-অন্যায়ের দন্দ্ব

মানব জাতির অতিত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ। ন্যয়-অন্যায়ের দন্দ্ব

যুগ যুগ ধোরে একটার পর একটা দীন নিয়ে নবীরা কেন অবতীর্ণ হোয়েছেন তা আমরা আলোচনা কোরলাম। কিন্তু সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, বিভিন্ন মনে হোলেও আসলে সব গুলিই সেই ইসলাম, দীনুল কাইয়্যেমা, সেরাতুল মোস্তাকীম, সহজ, সরল, অতি সহজে বোধগম্য, চিরন্তন জীবনব্যবস্থা, যা গ্রহণ এবং সমষ্টি ও ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিষ্ঠা কোরলে অবশ্যম্ভাবী ফল মানুষের মধ্যে শান্তি, নিরাপত্তা, যা আল্লাহ আমাদের জন্য চান।

বর্ত্তমানে ইসলাম সম্বন্ধে দু’টি ভুল ধারণা প্রচলিত। একটি হলো মুসলিম বোলে পরিচিত জাতিটি যে ধর্মে বিশ্বাস করে এটিকে বলা হয় ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মকে অন্য বিভিন্ন নাম দেয়া হোয়েছে। কিন্তু আসলে আল্লাহ আদম (আ:) থেকে শুরু কোরে শেষ নবী (দ:) পর্য্যন্ত যতবার যতভাবে জীবন-বিধান পাঠিয়েছেন সব গুলোই ঐ একই নাম ইসলাম, শান্তি অর্থাৎ যে জীবন-বিধান অনুসরণ কোরে চোললে মানুষ শান্তিতে সুখে বাস কোরতে পারবে আর অস্বীকার কোরলে তার অবধারিত পরিণতি অশান্তি, রক্তারক্তি, অবিচার। রাজনৈতিক আর্থ-সামাজিক অবিচার- যা মালায়েকরা বোলেছিলেন।

দ্বিতীয়টি হলো এই ধারণা (আকীদা) যে, আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণের নাম ইসলাম। এটাও ভুল। কারণ আল্লাহ ইচ্ছা কোরলে এই মুহূর্ত্তে
পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তাকে বিশ্বাস কোরবে। কোন অবিশ্বাসী, কোন সন্দেহকারী, কোন মোশরেক বা মোনাফেক থাকবে না।
তাদের উপেক্ষা যদি তোমার কাছে কঠিন বলে মনে হয় তাহলে পারলে ভূগর্ভে সুড়ঙ্গের কিংবা আকাশে আরোহণের জন্য সিঁড়ির সন্ধান কর অত:পর তাদের কাছে (নতুন) নিদর্শন হাজির কর। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদের সকলকে সৎপথে একত্র করতেন। কাজেই তুমি মূর্খদের মত হয়ো না। -(সূরা-আল-আন’আম-৩৫)
আল্লাহর অনুমতি ব্যতিরেকে কেউ ঈমান আনতে পারবে না, আর যারা বিবেক বুদ্ধি খাটায় না, আল্লাহ তাদের উপর গুমরাহী চাপিয়ে দেন। (সূরা-ইমরান-১০০)

কাজেই তা নয়। আল্লাহ মানুষের মধ্যে তার নিজের আত্মা ফুঁকে দিয়েছেন অর্থ মানুষের মধ্যে যুক্তির শক্তি, বুদ্ধি, জ্ঞান ও সর্বোপরি স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়েছেন, দিয়ে নবী পাঠিয়ে তাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছেন, যে পথে চোললে সে নিজেদের মধ্যে মারামারি, রক্তারক্তি না কোরে শান্তি তে থাকে। এরপর তিনি দেখবেন কে বা কারা তার দেখানো পথে চোলবে আর কে বা কারা তা চোলবে না।

কাজেই আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণের নাম ইসলাম নয়। তার দেয়া জীবন-ব্যবস্থাকে গ্রহণ ও প্রতিষ্ঠা করার ফল হিসাবে যে শান্তি সেই শান্তির নাম ইসলাম। মানুষ যদি যেসব নিয়ম, আইনের মধ্যে এই জগত সৃষ্টি করা হোয়েছে ও চোলছে তা সব জানতো তবে হয়তো মানুষই নিজেদের জন্য এমন জীবন-ব্যবস্থা, ধর্ম তৈরী কোরে নিতে পারতো যা মেনে চোললেও ঐ শান্তি ইসলাম আসতে পারতো। কিন্তু মানুষ তা জানে না- তাকে আল্লাহ অতখানি জ্ঞান দেন নি। তাই স্রষ্টা তাকে বোলে দিয়েছেন কোন পথে চোললে, কেমন জীবনব্যবস্থা গ্রহণ কোরলে ঐ অভীষ্ট শান্তি, ইসলাম আসবে। বোলে দিয়েছেন তার নবীদের মাধ্যমে। মনুর (আ:), ‍কৃষ্ণের (আ:), যুধিষ্ঠিরের (আ:), ইব্রাহীমের (আ:), মুসার (আ:), ঈসার (আ:) এবং আরও অনেক অনেক নবীদের মাধ্যমে এবং সর্বশেষে মোহাম্মদের (দ:) মাধ্যমে।
(মনু (নুহ্ আঃ) কৃষ্ণ (আ:), যুধিষ্ঠির (ইদরীস আঃ) এরা যে নবী ছিলেন তা আমার গবেষণা লব্ধ মতামত, ব্যক্তিগত অভিমত। এ অভিমত আমি অন্য কাউকে গ্রহণ কোরতে জোর কোরছি না।)
কোন প্রাণী হত্যা কোরব না, কেউ আমার কোট চুরি কোরলে তাকে জোব্বাটাও দিয়ে দিবো, এ অর্থে এ ইসলাম নয়। যে ধর্ম ঐ শিক্ষা প্রচার করে তারা সংখ্যায় পৃথিবীতে অন্য সব ধর্মের চেয়ে বেশী কিন্তু সমস্ত পৃথিবী আজ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশী অশান্তি আর রক্তারক্তিতে লিপ্ত। শুধু তাই নয় ঐ মতে বিশ্বাসীরা এই শতাব্দীতেই দু’বার নিজেদের মধ্যে মহাযুদ্ধ বাঁধিয়ে প্রায় পনের কোটি মানুষ হত্যা কোরেছে, হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহর দু’টি কয়েক লক্ষ মানুষসহ ধ্বংস কোরেছে এবং আজ পারামাণবিক অস্ত্র দিয়ে সম্পূর্ণ মানব জাতিটাকেই ধ্বংস করার মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে।

মানুষকে নিজেদের মধ্যে অশান্তি, অবিচার, মারামারি না কোরে শান্তিতে, ইসলামে থাকার জন্য জীবন বিধান দিয়ে আল্লাহ যুগে যুগে পৃথিবীর প্রতিস্থানে, প্রতি জনপদে, প্রতি জাতিতে তার প্রেরিতদের, নবীদের পাঠিয়েছেন (কোর’আন- সূরা আন নহল ৩৬)। মানুষ জাতির কিছু অংশ তা গ্রহণ ও প্রতিষ্ঠা কোরেছে, কিছু অংশ করে নি। যারা গ্রহণ কোরেছে তাদের সমাজের রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি জীবনের সমস্ত কিছুই ঐ ব্যবস্থার নির্দেশে পরিচালিত হোয়েছে। তাদের সমাজের আইনের উৎস শুধু ঐ জীবন-বিধান বা ধর্মই ছিলো না ঐ বিধানই আইন ছিলো, ওর বাহিরের কোন আইন সমাজ গ্রহণ কোরত না। অনেক কারণে (বিকৃতির কারণ গুলো পেছনে বোলে এসেছি) আল্লাহর দেয়া জীবন-বিধান বদলিয়ে ফেলে বা ইচ্ছামত তার ভুল ব্যাখ্যা কোরে তা চালানো হোয়েছে। কিন্তু ঐ ভুল ও অন্যায় আইনকেও সেই ধর্ম বা দীনের আইন বোলেই চালানো হোয়েছে। তার বাহিরের, মানুষের তৈরী বোলে চালানো যায় নি। পৃথিবীর ইতিহাসকে না তলিয়ে, শুধু এক নজরে যারা পড়েছেন তারাও এ কথা অস্বীকার কোরতে পারবেন না যে মানব সমাজ চিরদিন শাসিত হোয়ে এসেছে ধর্মের আইন দিয়ে। যখন যেখানে যে নবী ধর্ম বা জীবন-বিধান প্রতিষ্ঠা কোরেছেন, সেখানে রাজা বা শাসনকর্ত্তা শাসন কোরেছেন সেই আইন দিয়ে- অন্য কোন কিছু দিয়ে নয়। আইনের নির্দেশ, উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কোরেছেন সমাজের বিজ্ঞেরা, পুরোহিতরা, আর তাকে প্রয়োগ কোরেছেন রাজারা, শাসকরা। ওর বাইরের কোন আইন, আদেশ চালাবার চেষ্টা কোরলে সমাজ তা গ্রহণ কোরত না, প্রয়োজনে বিদ্রোহ কোরত। উদাহরণ হিসাবে পশ্চিম এশিয়া নিন। ইহুদীদের আগে ওখানে আমন বা রা দেবতা থেকে শুরু কোরে অনেক রকম দেব-দেবীর ধর্মের আইন চোলতো। ওগুলোও পূর্বতন কোন নবীর আনা দীনের বিকৃতির ফল ছিলো। ইব্রাহীম (আ:) আবার আল্লাহর একত্ববাদ, তওহীদ প্রতিষ্ঠা করার পর ইহুদীরা যতদিন মধ্য এশিয়ায় ছিলো ততদিন ঐ আল্লাহ প্রেরিত দীনই ছিল তাদের জাতির আইন। ভারতের কথা ধরুন। রামায়ন, মহাভারতসহ ইতিহাস পড়ূন। দেখবেন রাজারা শাসন কোরেছেন শাস্ত্রানুযায়ী- অর্থাৎ ওটাই ছিলো শাসনতন্ত্র। ঐশ্বরিক বইয়ের উপর ভিত্তি কোরে শাস্ত্র, সেই শাস্ত্রের বিধান দিতেন ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা এবং বিধান বা আইন জনগণের উপর প্রয়োগ ও তার রক্ষার দায়িত্ব ছিলো ক্ষত্রিয় রাজাদের উপর। এই শাস্ত্রিয় বিধানের বিরুদ্ধে কোন আদেশ, নির্দেশ দেয়া রাজা বা শাসকের সাধ্য ছিলো না। ইউরোপের অবস্থাও তাই ছিলো। পোপের নির্দেশে রাজ্য শাসন কোরতেন রাজারা। কোন রাজা পোপের নির্দেশ অমান্য কোরতে পারতেন না- কোরলে তার দুরাবস্থার সীমা থাকতো না। মোট কথা পৃথিবীর কোথাও আইনের উৎস ধর্ম ছাড়া আর কোন কিছুকে গ্রহণ করা হয় নি।

প্রশ্ন হোতে পারে, তাই যদি হয় তবে আল্লাহর তওহীদের বিরোধী মুর্ত্তিপূজা তাহলে কোথা থেকে এলো, গ্রীকদের গণতন্ত্রই বা কেমন কোরে গজালো? এর জবাবে দীনের বিকৃতি সম্বন্ধে যে পেছনে লিখে এসেছি তা লক্ষ্য কোরুন। শয়তানের প্ররোচনায়, নিজেদের স্বার্থ-সিদ্ধির উদ্দেশ্যে অমলিন একত্বকে মুখে স্বীকার কোরেও কাজে বহুর পূজা একটা। কিন্তু এই মূর্ত্তির বা বহুর পূজা বা উপাসনাকেও কিন্তু স্রষ্টার, আল্লাহর ধর্মের নামে, তাদের উপর যে রসুল এসেছিলেন তারই নামে চালাতে হোয়েছে- এই আমার বক্তব্য। আড়াই হাজার বছর আগে গ্রীকরা গণতন্ত্র নিয়ে যে একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা কোরেছিলেন তা ছিলো ক্ষণস্থায়ী ও অতি ছোট শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেটাও ধর্ম থেকে আলাদা হোয়ে করা হোয়েছিলো তার কোন প্রমাণ নেই। বরং তখনকার দিনের শিল্প, দেব-দেবীর মুর্ত্তির, মন্দিরের যে সব নিদর্শন পাওয়া গেছে তাতে ধর্মের শক্তিশালী প্রভাবই পাওয়া যায়। যদি ধোরেও নেয়া যায় যে গণতন্ত্রের ঐ পরীক্ষা ধর্ম-নিরপেক্ষ ছিলো, তা হোলেও তা মানুষের হাজার হাজার বছরের ধর্মের ইতিহাসে এক ফোটার বেশী
জায়গা নিতে পারে না।

এ পর্য্যন্ত যা বোলে এলাম, তা সমস্তটা একত্র কোরলে আমরা একটা পরিষ্কার ছবি পাই। সেটা হলো- গোটা পৃথিবীটাকে পটভূমি হিসাবে নিয়ে মানুষ সৃষ্টির সময় থেকে যদি আরম্ভ করি তবে দেখতে পাই যে প্রথম মানব আদম (আ:) আল্লাহর দেয়া জীবন-বিধান, দীন ইসলাম অনুযায়ী চোলতে লাগলেন তার সন্তান-সন্তুতি নিয়ে এবং ফলে শান্তিতে বাস কোরতে থাকলেন। ইবলিস তার প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী চেষ্টা চালাতে লাগলো সেই জীবন ব্যবস্থা থেকে মানুষকে বিচ্যুত কোরতে। মানুষেরই ভেতরে বোসে তাকে প্ররোচনা দিয়ে আইন ভঙ্গ করাতে। হাবলকে দিয়ে তার ভাই কাবলকে হত্যা করালো। তারপর আরো আইন ভাঙ্গার ফলে যখন ওটা যথেষ্ট বিকৃত হোয়ে গেলো তখন আল্লাহ পাঠালেন দ্বিতীয় রসুল। তার ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করলো অনেকে রোয়ে গেলো সেই পুরোনো ব্যবস্থায়- যেটা ছিলো আদমের (আ:) উপর দেয়া। সৃষ্টি হলো দু’টো দীন, দু’টো ধর্ম, দু’টো জীবনব্যবস্থা। এদিকে মানুষের বংশ বৃদ্ধি চোলছেই। আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়লো আদম সন্তানরা পৃথিবীর চারিদিকে। পৃথিবীর বিভিন্ন্য স্থানে যেখানেই তারা বসতি স্থাপন করলো সেখানেই আসতে লাগলেন প্রেরিত নবীরা আল্লাহর দেয়া দীনুল কাইয়ে ̈মা, সনাতন ধর্ম নিয়ে। উদ্দেশ্য সেই একই মানুষ যেন নিজেদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি না কোরে, রক্তপাত না কোরে শান্তি ও সুখে বাস কোরতে পারে। একই সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নবী উপিস্থিত ছিলেন। কেউ হয়তো চীনের এক প্রান্তে, কেউ দক্ষিণ আমেরিকায়, কেউ ইউরোপে, কেউ মধ্য এশিয়ায়, কেউ ভারতের কোন কোণে আল্লাহ তার দায়িত্ব এক মুহূর্ত্তের জন্য ভুলে যান নি। যুগ বয়ে চলেছে, নবীরা মানুষের জন্য জীবন-ধর্ম দিয়ে চলে যাচ্ছেন, শয়তান মানুষকে প্ররোচনা দিয়ে সে গুলো বিকৃত, অকেজো কোরে ফেলছে। তারা আবার আসছেন আবার নতুন কোরে জীবন পথ দিচ্ছেন, নতুন ধর্ম সৃষ্টি হোয়ে চলেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই অতীতে হারিয়ে গেছেন। তারাও হারিয়ে গেছেন, তাদের মাধ্যমে প্রেরিত জীবনব্যবস্থা গুলিও হারিয়ে গেছে। আমরা পেছন দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই তাদের আনা ইসলামকেও দেখতে পাই। পাই, কিন্তু অত্যন্ত অস্পষ্টভাবে এবং মানুষের হস্তক্ষেপের ফলে বিকৃতভাবে।

এই হলো মানুষের প্রকৃত অতীত। ইতিহাসকে বহুলোক বহুভাবে ব্যাখ্যা কোরেছেন। কিন্তু সত্য গ্রহণ ও প্রত্যাখ্যান, ন্যায় ও অন্যায়ের অবিরাম দ্বন্দ্ব, সমষ্টি ও বক্তিগতভাবে মানুষের আত্মাকে একদিকে ইবলিস অন্যদিকে আল্লাহর আত্মা, রুহাল্লাহর টানাটানি- এই হলো আদম (আ:) থেকে শুরু কোরে আজ পর্য্যন্ত মানুষের সত্যিকার অতীত। এবং এ শুধু অতীত নয় ভবিষ্যতও নিঃসন্দেহে এই-ই। এর কোন বিরতি, কোন চ্যুতি হয় নি, হোচ্ছে না, হবে না। কার্ল মার্কসের ইতিহাসের ব্যাখ্যা অর্থাৎ শ্রেণী সংগ্রাম থেকে শুরু কোরে বহু দার্শনিক বহু রকমের ব্যাখ্যাকোরেছেন। এর কোনটাই গোটা সত্য নয়- খুব হোলে আংশিক সত্য এবং অত্যন্ত ছোট আংশিক। শ্রেণী সংগ্রাম যদি শেষ হোয়ে যায় (মার্কস যে শ্রেণীহীন সমাজ পৃথিবীতে দেখতে চান যদি বাস্তবায়িত হয়ও) সেদিন মার্কসের ইতিহাস ও তার ব্যাখ্যা দুইই স্তব্ধ, মুক হোয়ে যাবে। অন্যান্য সব ব্যাখ্যা সম্বন্ধেও এই একই কথা বলা যায়। যে ব্যাখ্যা মানুষের ইতিহাসের একটি বিশেষ সময় পর্য্যন্ত, অর্থাৎ অতীত, তা সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা হোতে পারেনা। ইতিহাসের মতই সে প্রকৃত ব্যাখ্যাও ইতিহাসের শেষ পর্য্যন্ত একই থাকতে হবে।

Leave a Reply