You are currently viewing মুসলিম নামক জাতির ইলাহ বা সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ আল্লাহ নন।

মুসলিম নামক জাতির ইলাহ বা সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ আল্লাহ নন।

মুসলিম নামক জাতির ইলাহ বা সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ আল্লাহ নন।

বর্ত্তমানে এই উম্মাহ, এই জাতিটি কত ভাগে বিভক্ত তার একটা মোটামুটি বিবরণ দিলাম। এর আরও বহু উপবিভাগ আছে তাতে আর গেলাম না। বহু লম্বা হোয়ে যাবে। যিনি এই উম্মাহ সৃষ্টি কোরেছিলেন তিনি (সা:) বলে গেছেন আমার এই উম্মাহ তেহাত্তর ভাগে (ফেরকায়) বিভক্ত হোয়ে যাবে, আর ঐ তেহাত্তর ভাগের একটি মাত্র ভাগ জান্নাতী, বাকি বাহাত্তর ভাগ আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে। সব ধর্মের লোক যেমন বিশ্বাস করে যে আমার ধর্মই একমাত্র সঠিক ধর্ম বাকি আর সব নরকে যাবে, তেমনি ঐ তেহাত্তর ফেরকার প্রতিটি ফেরকাই বিশ্বাস করে যে আমার ফেরকাই সেই একমাত্র জান্নাতী ফেরকা। আসলে সেই একমাত্র জান্নাতী ফেরকা কোনটা তা সামনে দেখাবো।

এখন সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কয়েকটা কথা দরকার। পেছনে বোলে এসেছি যে উম্মতে মোহাম্মদীকে সৃষ্টি করা হোয়েছিলো একটি মাত্র উদ্দেশ্যে এবং তা হলো সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে এই শেষ দীন, জীবনব্যবস্থা এই পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করা। কারণ এইটাই হলো আল্লাহর প্রতি ইবলিসের, শয়তানের চ্যালেঞ্জ। ঐ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সংগ্রাম শুরু কোরেও অর্ধেক রাস্তায় দুর্ভাগ্য ক্রমে হঠাৎ ঐ উদ্দেশ্য ভুলে যেয়ে যখন ঐ সংগ্রাম ত্যাগ করলো তখনই এই জাতির অস্তিত্বের আর অর্থ রোইলো না। কারণ যে জিনিষের উদ্দেশ্য নেই সেটা অর্থহীন। সেই উদ্দেশ্য অর্জনের সংগ্রাম ত্যাগ করার ফলে এটা আর প্রকৃত উম্মতে মোহাম্মদী রোইলো না। সম্মুখে উদ্দেশ্য না থাকলে যা হবার এরপর তাই হলো অর্থাৎ নানামতের সৃষ্টি, বিভেদ এবং একদা পরাজিত শত্রুর কাছে পরাজয় ও তাদের ক্রীতদাসে পরিণত হওয়া। ঐ দাসত্বই যথেষ্ট প্রমাণ যে, এই জাতি আর তখন মো’মেনও নয় মুসলীমও নয়, উম্মতে মোহাম্মদী তো নয়ই। কারণ এর যে কোনটা হোলেই অন্য জাতির দাসত্ব অসম্ভব, কারণ আল্লাহ বহুবার বোলেছেন তিনি মো’মেনের সঙ্গে আছেন, বোলেছেন যে “…আর মো’মেনদের সাহায্য করা অবশ্য কর্ত্তব্য, দায়িত্ব”-সুরা আর রুম-৮৭। আল্লাহ যাকে বা যাদের সঙ্গে আছেন, যাদের সাহায্য কোরছেন তারা যদি দাসে, গোলামে পরিণত হয় তবে একটাই সিদ্ধান্ত সম্ভব আর তা হলো আল্লাহ মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)। যা হোক, কয়েক শতাব্দী ঐ দাসত্বের পর বিশেষ অবস্থার কারণে এই জাতি গোলামী থেকে দৃশ্যতঃ ও আংশিকভাবে মুক্তি পেলো। আংশিক কেন বোলছি তা পেছনে বোলে এসেছি। পাশ্চাত্য প্রভুরা যাবার সময় ক্ষমতা ছেড়ে গেলো তাদেরই অতি যত্নে তৈরী করা একটা শ্রেণীর হাতে, যে শ্রেণীর মন-মগজ তারা বিশেষ পদ্ধতিতে শিক্ষার মাধ্যমে কিনে নিয়েছিলো। ক্ষমতা এদের হাতে ছেড়ে- যাবার পর এরা বিভিন্ন দেশে যে ধরনের সরকার গুলি কায়েম কোরলেন তা থেকেই তাদের হীনমন্যতার গভীরতা আঁচ কারা যায়। ইউরোপের যে রাষ্ট্রের অধীনে যে দেশ ও এলাকা ছিলো সেই সেই দেশের নতুন সরকার গুলি প্রত্যেকটি তাদের যার যার বিগত প্রভুদের দেশের ব্যবস্থা নিজেদের দেশে প্রবর্ত্তন করলো শুধু রাজতন্ত্র ছাড়া। প্রভুরা যে সার্বভৌমত্ব স্রষ্টার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মানুষের হাতে নিয়ে এলো এটা যে স্রষ্টাকে অস্বীকার কোরে কুফর করা হলো এ বোধ এই নতুন শাসকদের ছিলো না, কাজেই তারা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব অস্বীকারকারী ব্যবস্থা গুলি তাদের নিজেদের দেশে প্রবর্ত্তন কোরেও তারা ‘মুসলিমই রোইলেন’ এই আহাম্মকের স্বর্গে বাস কোরতে লাগলেন এবং ব্যক্তিগত জীবনে নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি কোরতে থাকলেন। তারা তাদের বিগত খ্রীস্টান এলাহদের কাছে শিখেছিলেন যে আল্লাহ এবং তার দীন নেহায়েত ব্যক্তিগত ব্যাপার। ব্যক্তিগতভাবে তাকে মানলেই ভালো ধার্মিক হওয়া যায়। জাতীয় জীবনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক এসব জটিল ব্যাপার বোঝা আল্লাহর বুদ্ধির বাইরে। তাদের ঐ ধর্মনিরপেক্ষতার শিক্ষা ঐ ক্ষমতাধারীদের পক্ষে গ্রহণ ও প্রয়োগ করা কঠিন হলো না, কারণ এই ‘ধর্মের’ ধারক-বাহক ধ্বজাধারী যারা ছিলেন ও আছেন তারা বিশেষ কোন বাধা দিলেন না। আল্লাহর সার্বভৌমত্ব অস্বীকারকারী ঐ পাশ্চাত্য রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গুলি এই বিভিন্ন ‘মুসলিম’ দেশ গুলিতে চালু করার বিরুদ্ধে ঐ ‘ধর্মীয়’ নেতারা যারা নিজেদের ‘ওলামায়ে দীন’ বোলে মনে করেন তারা অপ্রতিরোধ্য বাধা হোয়ে দাঁড়ান নি তার কারণ-
ক) পূর্ববর্ত্তী ফকীহ মুফাস্সিরদের কাজের ফলে অর্থাৎ এই দীনের অতি বিশ্লেষণের ফলে ঐ ওলামায়ে দীন বহু ভাগে বিভক্ত হোয়ে ছিলেন। আর এটা সাধারণ জ্ঞান যে ঐক্যহীন কোন কিছুর কোন শক্তি নেই।
খ) ঐ ‘ওলামায়ে দীনের’ আকীদাও পাশ্চাত্য খ্রীস্টানদের ধর্মনিরপক্ষতার মতই ছিলো, অর্থাৎ ব্যক্তিগতভাবে আল্লাহ রাসূলে ঈমান, নামায, রোযা ইত্যাদি করলেই ভালো মুসলিম হওয়া যায়, জাতীয় জীবনে গোলমালে যেয়ে কি হবে? এই দিক দিয়ে মোশরেক ও কাফের পাশ্চাত্য জাতি গুলির আকীদার থেকে এরা বেশী দূরে ছিলেন না এবং এখনও নেই। পেছনে যে অন্তর্মূখীতার কথা বোলে এসেছি এটা তারই ফল।
গ) যখন পাশ্চাত্য প্রভুদের হাত থেকে ক্ষমতা ঐ ‘শিক্ষিত’ শ্রেণীটির কাছে হস্তান্তরিত হলো তখন বৃহত্তর জন সাধারণ শুধু অশিক্ষিত ও নিরক্ষর নয় মুর্খ। কয়েক শতাব্দী আগেই এই জাতিকে গুণ্ডমুর্খে পরিণত করার যে প্রক্রিয়া আরম্ভ হোয়েছিলো তার পূর্ণ ফসল এখন দেখা দিয়েছে। এই অশিক্ষার ও মুর্খতার সর্বপ্রধান কারণ ছিলো এই দীনের ‘ওলামাদের’ অতিবিশ্লেষণ ও শেষ পর্য্যন্ত এই অভিমত যে ধর্মীয় শিক্ষাই একমাত্র শিক্ষা, ধর্মীয় জ্ঞানই একমাত্র জ্ঞান, এর বাইরে আর কোন শিক্ষা আর কোন জ্ঞান প্রয়োজন নেই। সুতরাং যখন ক্ষমতা হস্তান্তর হোল তখন ঐ ‘শিক্ষিত’ শ্রেণীর বাইরে প্রধান মাত্র দু’টি ভাগ ছিলো একটি ‘ওলামায়ে দীন’ যাদের জাতীয় জীবন সম্বন্ধে আকীদা ইসলামের আকীদা নয়, পাশ্চাত্য খ্রীস্টানদের শেখানো, ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। অন্যটি বিরাট অশিক্ষিত নিরক্ষর জনতা। কাজেই ‘শিক্ষিত’ ক্ষমতাধর শ্রেণীটি বিনা বাধায় পাশ্চাত্যের কাছে শেখা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব তওহীদ অস্বীকারকারী জাতীয় জীবনব্যবস্থা সমস্ত ‘মুসলিম’ দুনিয়াময় প্রতিষ্ঠা কোরতে পারলেন।

এই কালো, বাদামী ও হলদে ইউরোপীয়ানদের শাসন এখনও পর্য্যন্ত চোলছে। কিন্তু যেদিন এদের শাসন আরম্ভ হোয়েছিল সেদিন থেকে আজ কিছুটা ব্যতিক্রম এসেছে। এই ব্যতিক্রম দু’মুখী এবং বিপরীতমুখী।
ক) বিদেশী প্রভুরা কেরানীকুল সৃষ্টির জন্য যে নৈতিকতাহীন শিক্ষা ব্যবস্থা সৃষ্টি কোরেছিলো সেই ব্যবস্থা মাছিমারা কেরাণীর মত (ঐ কেরাণী সৃষ্টিই উদ্দেশ্য ছিল) অনুকরণ করার ফলে চিন্তা-ভাবনা দৃষ্টিভঙ্গি (আকীদা) সংস্কৃতি, ইত্যাদি ব্যাপারে এই জাতির দেশ গুলি আজ অনেক বেশী পাশ্চাত্য নির্ভর। যেদিন পাশ্চাত্য জাতি গুলি প্রাচ্যের এই দেশ গুলিকে তথাকথিত স্বাধীনতা দিয়ে চলে গিয়েছিলো সেদিনের চেয়ে এই দেশ গুলিতে নিজেদের ঘরে নিজেদের মধ্যে অনেক বেশী ইংরাজীতে, ফ্রেন্চে, জার্মানে, ইটালিয়ানে কথা বলে, যে কয়টি ঘরে পাশ্চাত্য সঙ্গীত বাজতো আজ তার চেয়ে বহু বেশী ঘরে বাজে। অর্থনৈতিক দিকটা পরে আসছে।
খ) অন্যদিকে এই দেশ গুলিতে মানুষের মধ্যে একটা অংশের চেতনা ফিরে আসছে, কালঘুম ভাংছে। মহানবী (সা:) বোলে গেছেন- আমার উম্মাহর মধ্যে চিরকালই একটা দল থাকবে যারা সর্ব অবস্থায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ বলবৎ কোরেব(হাদীস – মুয়াবিয়া (রা:) থেকে বোখারী, মুসলিম, মেশকাত)। আল্লাহর আদেশ- নিষেধ অর্থই এই জীবন-ব্যবস্থা, এই দীন-ই ইসলাম। এরা আজও প্রকৃত উম্মতে মোহাম্মদী। এদের একটা চাপ কমবেশী চিরকাল আছে, প্রাশ্চাত্য প্রভুরা থাকতেও ছিলো। তারা চলে যাবার পর এই চাপ ক্রমশঃ বাড়ছে। এদেরই চাপে ক্ষমতাধর শাসকরা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কিছুটা আপোষের ভাব দেখাচ্ছেন। যদিও আসলে আপোষের চেয়ে ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যটাই মুখ্য।
সার্বভৌমত্ব ছাড়া কোন ব্যবস্থা, বিধান, জীবনব্যবস্থা অসম্ভব। কারণ যে কোন সমস্যারই একটা শেষ চূড়ান্ত স্থান থাকতে হবে সমাধানের। না থাকলে অবশ্যম্ভাবী পরিণতি বিভেদ-বিভক্তি ও সমস্ত ব্যবস্থাটাই ভেঙ্গে পড়া। খ্রীস্টান ধর্মের জাতীয় জীবনের ব্যর্থতায় যে ধর্মনিরপেক্ষতার জন্ম হলো তাতেও সার্বভৌমত্ব রাখতে হলো। প্রথমতঃ রাজাদের তারপর সেটার ব্যর্থতার পর বিভিন্ন প্রকারের সার্বভৌমত্বের। পরিষ্কার কোরে উপস্থাপন কোরতে গেলে এমনি কোরে কোরেত হয়ঃ

ব্যবস্থা (System)সার্বভৌমত্ব (Sovereignty)
রাজতন্ত্ররাজা, বাদশাহ, সম্রাট
গণতন্ত্রজনসাধারণের সংখ্যাগরিষ্ঠতা
সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদজনসাধারণের একটি বিশেষ শ্রেণী
ফ্যাসিবাদএক নায়ক, ডিকটেটর

এই বিন্যাসই এ কথা পরিষ্কার কোরে দিচ্ছে যে সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোন আপোস সম্ভব নয়। ওপরের যে কোন একটাকে গ্রহণ কোরতে হবে। আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে বাদ দিয়ে অন্য যে কোনটি স্বীকার, গ্রহণ কোরে নিলে সে আর মুসলিম বা মো’মেন থাকতে পারে না। কোন লোক যদি ব্যক্তিগত জীবনে আল্লাহ বিশ্বাসী এবং জাতীয় জীবনে, ওপরের যে কোনটায় বিশ্বাসী হয় তবে সে মোশরেক। আর উভয় জীবনের কোন লোক যদি ঐ গুলির যে কোনটায় বিশ্বাস করে তবে সে কাফের।

এই রঙ্গীন (Coloured) ইউরোপিয়ানদের শাসন দু’এক দশক পার হবার মধ্যেই আল্লাহর রহমে বিভিন্ন মুসলিম দেশ গুলোয় কিছু কিছু মানুষ সচল হোয়ে উঠতে লাগলো। এদের জাগরণের প্রেরণা এলো সেই দলের লোকদের কাছ থেকে যাদের সম্বন্ধে একটু আগেই বোলে এসেছি। যাদের কথা বিশ্বনবী (সা:) বোলে গেছেন- আমার উম্মতে সব সময়ই একদল লোক থাকবে যারা নিরবচ্ছিন্নভাবে এই দীনকে প্রতিষ্ঠার জন ̈ কাজ কোরে যাবে। যাই হোক, ক্রমশঃ এই দীনকে জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্য, পাশ্চাত্য প্রভুদের শেখানো আত্মাহীন বস্তুতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ত্যাগ করার জন্য চাপ বাড়তে লাগলো এবং এমন একটা পরিস্থিতি এলো যখন মানসিকভাবে পাশ্চাত্যের দাস, বিভিন্ন মুসলিম দেশের নেতৃত্ব দেখলো যে একটা কিছু করা দরকার। তারা কোরলেনও। অর্দ্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত জনাসাধারণকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য তারা ইসলামিক ধণতন্ত্র, ইসলামিক সমাজতন্ত্র, ইসলামিক রাজতন্ত্র ইত্যাদি অদ্ভুত অসম্ভব ব্যবস্থা সৃষ্টি কোরলেন। উদ্দেশ্য মানুষকে ফাঁকি দেওয়া হোলেও তারা নিজেরাই এ কথা বুঝলেন কিনা জানিনা যে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের সঙ্গে ঐ সব ব্যবস্থার সার্বভৌমত্বের গোজামিল হোচ্ছে শেরক ও কুফর। যদি বুঝে থাকেন তবে এ কথা পরিষ্কার যে পাশ্চাত্য প্রভুদের শেখানো আল্লাহ বিরোধী ব্যবস্থা গুলিকে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা নিজেদের জাতিকে ধোঁকা দিচ্ছেন, তারা শেরক ও কুফরের মধ্যে তো আছেনই, তার উপর তারা জ্ঞানপাপী। আর যদি না বুঝে থাকেন তবেও এ কথা পরিষ্কার যে তাদের মন-মগজ পাশ্চাত্যের সব কিছু সম্বন্ধে এতো অতল হীনমন্যতায় নিমজ্জিত, পাশ্চাত্য সব কিছুতেই নির্ভুল এই বিশ্বাস এতো দৃঢ় যে গত মহাযুদ্ধে যদি গণতন্ত্রী, সমাজতন্ত্রী ও সাম্যবাদীরা না জিতে ফ্যাসিবাদী অক্ষশক্তি জিতে যেতো এবং পৃথিবীতে তাদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হতো তবে শেরক ও কুফরের দাস ‘মুসলিম’ দেশ গুলির শিক্ষিত শাসক শ্রেণী ইসলামিক ফ্যাসিবাদ আবিষ্কার কোরে তা তাদের জাতি গুলির উপর চাপাতেন এবং গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদকে তেমনি গালিগালাজ কোরতেন আজ যেমন ফ্যাসিবাদ আর রাজতন্ত্রকে করেন। পাশ্চাত্য সম্বন্ধে ঘৃণ্য হীনমন্যতায় অন্ধ হোয়ে না গেলে এরা দেখতে পেতেন যে ইসলামিক গণতন্ত্র, ইসলামিক সমাজতন্ত্রের চেয়ে বরং ইসলামিক খ্রীস্টান, ইসলামিক হিন্দু, ইসলামিক বৌদ্ধ, ইসলামিক ইহুদী নিকটতর কারণ এরা সবার উপর স্রষ্টা আছেন বিশ্বাস করে এবং তাকে প্রভু বোলে স্বীকার করে। কিন্তু গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ফ্যাসিবাদ স্রষ্টাকে বিশ্বাসই করে না, ব্যক্তিগতভাবে মুখে কেউ কোরলেও পার্থিব অর্থাৎ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি ব্যাপারে আল্লাহর কিছু বলার আছে বোলেস্বীকার করে না।

Leave a Reply