You are currently viewing রাসূলের (সা:) সুন্নাহ্‌ পালনের জন্য সাহাবীদের (রা:) আকুলতা
জিহাদ আত্মরক্ষা মূলক নয়

রাসূলের (সা:) সুন্নাহ্‌ পালনের জন্য সাহাবীদের (রা:) আকুলতা

রাসূলের (সা:) সুন্নাহ্‌ পালনের জন্য সাহাবীদের (রা:) আকুলতা

আল্লাহ যে তার এক লাখ চব্বিশ হাজার বা মতান্তরে দুই লাখ চব্বিশ হাজার নবী রসুল (আ:) পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার উদ্দেশ্য কী? একমাত্র উদ্দেশ্য হোচ্ছে মানুষকে এমন একটা জীবনবিধান, দীন দেয়া যেটা অনুসরণ কোরে মানুষের জীবন পরিচালিত কোরলে মানুষ অন্যায়, অবিচার, অশান্তি, ও রক্তপাতহীন, প্রগতিশীল একটা জীবনে বাস কোরতে পারে। এর প্রধান শর্ত্ত হলো আল্লাহকে একমাত্র জীবন-বিধাতা বোলে স্বীকার কোরে নেওয়া, একমাত্র প্রভু স্বীকার করা, (তওহীদ)। কারণ তা না কোরলে তার দেয়া জীবন বিধানকে একমাত্র জীবন-বিধান বোলে স্বীকার করার প্রশ্ন আসে না। দ্বিতীয়তঃ যার মাধ্যমে আল্লাহ ঐ বিধান পাঠালেন তাকে প্রেরিত বোলে স্বীকার করা, স্বভাবতঃই। ঐ নবী রসুলদের জীবনের একমাত্র কর্ত্তব্য ছিলো, একমাত্র লক্ষ্য ছিলো যার যার জাতি, কওমের জীবনে ঐ দীন, জীবন-বিধান প্রতিষ্ঠা করা এবং তারা আজীবন ঐ প্রচেষ্টা, সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তাদের জাতি, জনগোষ্ঠী থেকে যারা ঐ সব নবী রসুলদের (আ:) উপর বিশ্বাস এনে তাদের মাধ্যমে অবতীর্ণ জীবন-ব্যবস্থাকে স্বীকার কোরেছেন তাদের উপর অবশ্য কর্ত্তব্য হোয়ে গেছে তাদের যার যার নবীকে সর্বতোভাবে সাহায্য করা, যে পর্য্যন্ত না তাদের নবীর উপর আল্লাহর অর্পিত দায়িত্ব পূর্ণ করা হয়। শেষ নবীর (সা:) আগে সব নবীদের উপর জীবন-বিধান আল্লাহ পাঠিয়েছিলেন শুধু তাদের যার যার জাতি, কওম ও জনগোষ্ঠীর জন্য এবং ঐ নবীদের উপর বিশ্বাসীরা তাদের যার যার নবীর সঙ্গে এক হোয়ে যেয়ে তাদের সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য কোরেছেন যাতে তাদের সমস্ত জাতি বা জনগোষ্ঠীই তাদের নবীর দীন গ্রহণ করে।

উদাহরণ স্বরূপ ধরুন, মূসার (আ:) কথা। আল্লাহ তাকে পাঠিয়েছিলেন প্রধান দু’টি কাজ দিয়ে। একটা হলো ফারাওয়ের নির্য্যাতন থেকে ইহুদীদের উদ্ধার কোরে মিশর থেকে বের কোরে আনা। আরেকটা হলো ইহুদীদের জন্য জীবনব্যবস্থা দেয়া, যেমন অন্যান্য সব নবী রসুলদের উপর দেয়া হোয়েছিলো। মুসা (আ:) প্রথমে ইহুদীদের মিশর থেকে বের কোরে আনলেন, তারপর ইহুদীদের জাতীয়, পারিবারিক ও ব্যক্তি জীবনে আল্লাহর দেয়া জীবন-বিধান প্রতিষ্ঠা কোরলেন ও সেই সঙ্গে তার উপর আল্লাহর দেয়া উভয় দায়িত্ব পূর্ণ কোরলেন। ধরুন যদি মুসা (আ:) তার দ্বিতীয় দায়িত্বপূর্ণ না কোরতে পারতেন অর্থাৎ সম্পূর্ণ ইহুদী জাতি তার মাধ্যমে আসা জীবন-বিধান স্বীকার ও গ্রহণ করার আগে তিনি পৃথিবীর থেকে চলে যেতেন, তবে কি হতো? বা ধরুন অর্দ্ধেক ইহুদী জাতি মুসার (আ:) উম্মাহ অর্থাৎ জাতিতে পরিণত হলো, বাকী অর্দ্ধেক হলো না। ধরুন অর্দ্ধেক ইহুদীদের মিশর থেকে উদ্ধার কোরে আনার পর মুসার (আ:) মৃত্যু, তখন কি হতো? নিঃসন্দেহে বলা যায় মুসা (আ:) উদ্ধারকৃত অর্দ্ধেক ইহুদীদের নসিয়ত কোরে যেতেন যে আমার দায়িত্ব পালন শেষ হলো না, আমি চলে গেলাম, আমার বাকী দায়িত্ব অর্থাৎ বাকী অর্দ্ধেক ইহুদীদের উদ্ধারের ভার তোমাদের উপর দিয়ে গেলাম। যে অর্দ্ধেক ইহুদীদের মুসা (আ:) উদ্ধার কোরতে সক্ষম হোয়েছিলেন তারা যদি মুসার (আ:) মতই সর্বতোভাবে তাদের বাকী অর্দ্ধেক ইহুদীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যেতো তবেই তাদের মুসার (আ:) প্রকৃত উম্মাত বলা যেতো। কারণ তারা মুসার (আ:) বর্ত্তমানে যেমন তাকে অনুসরণ কোরেছিলো, তার ওফাতের পরও তার উপর অর্পিত দায়িত্বকে পূর্ণ করার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে গেলো। আর যদি মুসার (আ:) মৃত্যুর পর ঐ অর্দ্ধেক ইহুদী বাকী অর্দ্ধেককে উদ্ধার করার কোন প্রচেষ্টা, সংগ্রাম না করে, ও কথাই ভুলে যায় তবে তারা আর মুসার (আ:) প্রকৃত উম্মাহ নয়, কেয়ামতে মুসা (আ:) তাদের তার উম্মাহ বোলে স্বীকার কোরবেন না। পুর্ববর্ত্তী অন্যান্য নবীদের মত মুসাও (আ:) এসেছিলেন সীমিত দায়িত্ব নিয়ে। শুধুমাত্র বনি ইসরাইলকে মিশর থেকে উদ্ধার ও তাদের নতুন জীবন-বিধান (সেই পুরানো ইসলাম) দিতে। আর মোহাম্মদ (সা:) কে আল্লাহ পাঠালেন সমস্ত পৃথিবী, সমগ্র মানবজাতিকে এই জীবন-ব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আসার দায়িত্ব দিয়ে। এ বিশাল দায়িত্ব যে এক জীবনে পালন করার প্রশ্নই আসে না তা যিনি এ দায়িত্ব অর্পণ কোরেছেন তিনিও জানেন, আর যার উপর অর্পণ কোরেছেন তিনিও জানেন। তারা এও জানেন যে, পুর্ববর্ত্তী নবীদের উম্মাহ গুলির মত শেষ নবীর (সা:) উম্মাহর উপরও তাদের নবীর (সা:) দায়িত্ব অর্পিত হবে এবং হোয়েছে। ঐ উম্মাহ যে তাদের ঐ দায়িত্ব পূর্ণভাবে উপলব্ধি কোরেছিলেন এবং তা তাদের আকীদাভুক্ত হোয়ে গিয়েছিলো তার প্রমাণ তাদের আমল, কাজ, যা ইতিহাস। এ ছাড়া তাদের আরব থেকে বের হোয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আর কোন ব্যাখ্যা হোতে পারে না। কারণ আগেই বোলে এসেছি, এ ছাড়া যদি রাজ্যজয়, সাম্রাজ্য স্থাপন তাদের উদ্দেশ্য হোয়ে থাকে তবে স্বীকার কোরতে হবে যে, মানব জাতির মুকুটমনি, বিশ্বনবী (সা:) তার সারা জীবন সাধনা কোরে, অপরিসীম দুঃখ, কষ্ট, অত্যাচার সহ্য কোরে একটি পররাজ্য লোভী রক্ত পিপাসু জাতি সৃষ্টি কোরে গিয়েছিলেন (নাউযুবিল্লাহ)। আর না হোলে স্বীকার কোরতে হয় যে তারা তলোয়ারের জোরে পৃথিবীর মানুষকে ধর্মান্তরিত কোরতে নিজেদের সর্বস্ব ত্যাগ কোরে দেশ থেকে বের হোয়ে পড়েছিলেন- অর্থাৎ আল্লাহ যে ধর্মে বল প্রয়োগ নিষিদ্ধ কোরে দিয়েছেন তা তারা বুঝেন নি বা বুঝলেও তার তোয়াক্কা করেন নি (নাউযুবিল্লাহ)। এর কোনটাই নয়। মোহাম্মদের (সা:) উম্মাহ, উম্মতে মোহাম্মদী তাদের নবী তাদের মধ্য হোতে চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে নবীর সুন্নাহ পালন কোরে মানুষ জাতিকে এই জীবন ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে সব ত্যাগ কোরে বের হোয়ে গেলো, তাদের নবীর (সা:) প্রকৃত সুন্নাহ পালন করলো। তাদের নবী বোলেছিলেন- যে আমার সুন্নাহ ত্যাগ করলো সে আমার কেউ নয়। এই কথা বোলে তিনি তার ঐ সুন্নাহ বুঝিয়েছিলেন বোলেই ইতিহাসে দেখি তারা এমন কাজ কোরলেন যা আপাত দৃষ্টিতে বুদ্ধিমানের কাজ বোলে মনে হয় না। কারণ বোলছি- বিশ্বনবীর (সা:) ওফাতের সঙ্গে সঙ্গে আরবের বিভিন্ন জায়াগায় এই শেষ ইসলামের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান আরম্ভ, তার উপর আবার কয়েকজন মিথ্যা নবুয়তের দাবীদার। এই বিরুদ্ধ শক্তি যে অত্যন্ত প্রবল ছিলো এবং নতুন ইসলামী রাষ্ট্রের অবস্থা যে কতখানি নাজুক ও আশংকাজনক হোয়ে দাঁড়িয়েছিলো তার প্রমাণ ইয়ামামার যুদ্ধসহ অন্যান্য যুদ্ধ গুলির প্রচণ্ডতা। যে কোন বিচক্ষণ লোকের দৃষ্টিতে মনে হবে যে ঐ মহাবিপদ কাটিয়ে ওঠার পর ঐ সদ্যোজাত ছোট্ট রাষ্ট্রের নেতাদের উচিত ছিলো সময় ব্যয় করা, জাতির ভিত্তিও নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করার জন্য। পৃথিবীর দু’টি বিশ্ব শক্তির মুখোমুখী হবার আগে উচিৎ ছিলো নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করা, আরও প্রশিক্ষণ নেওয়া, অস্ত্রশস্ত্র, রসদের যথেষ্ট বন্দোবস্ত করা। কিন্তু ইতিহাস দেখি বিদ্রোহ দমন কোরে মদীনাতে ফিরে আসার আগেই সেনাপতি খালেদ বিন আল ওয়ালিদের (রা:) কাছে আবু বকরের (রা:) হুকুম গেলো ওখান থেকেই পারস্য সাম্রাজ্যের দিকে অগ্রসর হোয়ে তাদের সামনে সেই তিন শর্ত্ত পেশ করার এবং সেই সামান্য সংখ্যক যুদ্ধক্লান্ত সৈন্য নিয়েই খালেদ (রা:) রওনা হোয়ে গেলেন। অবশ্যই তার সামনে লক্ষ্য পারস্য সাম্রাজ্য আক্রমণ করা, কারণ প্রথম বা দ্বিতীয় শর্ত্ত মেনে নেবার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়, কারণ পারস্য সাম্রাজ্য তখন দুই বিশ্ব শক্তির অন্যতম। যারা ইসলামের সামরিক নীতি শুধুমাত্র আত্মরক্ষামূলক বোলে চালাতে চান তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, এই সময় পারস্য শক্তি ইসলামকে আক্রমণ কোরতে আসেই নাই এমন কি আক্রমণের কোন প্রস্তুতিও নিচ্ছিল বলে ইতিহাসে কোন প্রমাণ নেই।

আসল কারণ তা নয়। আসল কারণ গুলো হলো নেতা (সা:) তাদের মধ্য থেকে চলে যাবার পর নেতার সংগ্রাম যেন একটুক্ষণের জন্যও বন্ধ না হয়, না থামে, এমনি ছিলো তাদের মনের অবস্থা, আকীদা। নেতার অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্তির পথে অগ্রসর কোরতে, নিজেদের উম্মতে মোহম্মদী প্রমাণ কোরতে তাদের দেরী সহ্য হয় নি। ঐ বিশাল কাজের জন্য যে নিজেদের প্রস্তুত কোরে নিতে হবে এ কথা সাধারণ জ্ঞানে বুঝেও অতটুকু তর তাদের সয়নি। কারণ তারা ছিলেন সত্যিকার উম্মতে মোহাম্মদী, রাসূলের (সা:) নিজের হাতে গড়া জাতি, যাদের তিনি নিজে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ইসলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কি এবং তার প্রক্রিয়া কি। তাই এরপর ইতিহাসে দেখি ঐ সদ্য প্রসূত জাতি, যার নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-শিশু মিলিয়ে পাঁচ লাখও সংখ্যায় হবে না, টাকা নাই, পয়সা নাই, প্রাকৃতিক সম্পদ নাই, কিছুই নাই, প্রায় নিরস্ত্র, তবুও তাদের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য দেশ থেকে বের হোয়ে যেয়ে তদানিন্তন পৃথিবীর দুই বৃহৎ শক্তি- যাদের আমরা বলি পরাশক্তি তাদের অপরিমীত সম্পদ, অসংখ্য লোকবল, উন্নত প্রযুক্তি এবং বিরাট সুপ্রসিক্ষিত, সুশিক্ষিত সামরিক বাহিনী গুলির সম্মুখীন হোয়ে দাঁড়ালো। সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ যেন ছিলো এক আত্মহত্যার মত। যে মুজাহিদরা আরব থেকে বের হোয়ে ঐ বিশ্ব শক্তি গুলির সামনে দাঁড়িয়ে তাদের নবীর সুন্নাহ অনুযায়ী তিন শর্ত্ত দিয়েছিলেন শুধু তাদের আত্মহত্যাই নয়, তাদের ঐ নতুন জাতিটিরও আত্মহত্যা। কারণ যদি তারা ঐ অসম যুদ্ধে হেরে যেতেন তবে তাদের ঐ দুঃসাহসের, হঠকারিতার শাস্তি দিতে ঐ বিশ্ব শক্তি দু’টো আরবের ভেতরে ঢুকে ঐ নতুন রাষ্ট্রটাকে ধ্বংস কোরে দিতে পারতো এবং তাহলে আজ ইসলাম বোলে কোন দীন, মুসলিম বোলে কোন জাতি থাকতো না।

এসব সত্ত্বেও ইতিহাস হলো এই যে, ঐ বিশ্ব শক্তি দু’টি উম্মতে মোহাম্মদীর তিন শর্ত্তের মধ্যে শেষ শর্ত্তটিই বেছে নিয়েছিলো এবং ফলে নিজেরা টুকরো টুকরো হোয়ে ধ্বংস হোয়ে গিয়েছিলো এবং মাত্র ৬০/৭০ বছরের মধ্যে পশ্চিমে মরক্কোতে, আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূল থেকে পুর্বে চীনের সীমান্ত আর উত্তরে কাস্পিয়ান সাগর থেকে দক্ষিণে ভারত মহাসাগর পর্য্যন্ত বিরাট এলাকায় এই শেষ জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিল। আপাতদৃষ্টিতে এই মহা বিজয় কি কোরে সম্ভব এ এক প্রশ্ন। এর উত্তর হলো, যেহেতু ঐ উম্মাহ, জাতি আল্লাহর শেষ রাসূলের (সা:) অসমাপ্ত কাজ পূর্ণ কোরতে জীবনের সব কিছু ত্যাগ কোরে বের হোয়ে পড়েছে কাজেই আল্লাহ স্বয়ং ঐ উম্মাহর সঙ্গে থেকে তাদের সাহায্য কোরেছিলেন, আর আল্লাহ যাদের সাহায্যকারী, অভিভাবক তাদের পরাজিত করে কোন শক্তি? ঐ উম্মাহও জানতেন আল্লাহ যে কারণে পৃথিবীতে তার নবীদের বিশেষ কোরে তার শেষ নবীকে (সা:) পাঠিয়েছিলেন- অর্থাৎ সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পৃথিবীতে আল্লাহর দেয়া দীন প্রতিষ্ঠা, তাই কোরতে তারা অগ্রসর হোয়েছেন কাজেই তাদের সাহায্য কোরতে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আল্লাহর সাহায্য সম্পর্কে কতখানি নিশ্চিত হোলে কোন মানুষ, খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা:) কে মাত্র আঠার হাজার রণক্লান্ত সৈন্য নিয়ে বিশ্বশক্তি পারসিক সাম্রাজ্য আক্রমণ কোরতে আদেশ দেন এবং অন্য আরেক জন আমর ইবনুল আ’সকে (রা:) মাত্র চার হাজার মুজাহিদ নিয়ে পূর্বে রোমান সাম্রাজ্যের অধীন মিশর আক্রমণের আদেশ দিতে পারেন। আবু বকর (রা:) ও ওমর (রা:) দু’জনেই যে ভুল করেন নি, আল্লাহ যে সত্যই তাদের সর্বোতভাবে সাহায্য কোরেছিলেন তার প্রমাণ পরবর্ত্তী ইতিহাস। ঐ উম্মাহ ৬০/৭০ বছর পর্য্যন্ত সংখ্যায় তাদের চেয়ে দ্বিগুণ, তিন গুণ এমনকি কোন কোন যুদ্ধে পাঁচ, ছয় গুণ বেশী শত্রুর সঙ্গে লড়েছেন কিন্তু কোন গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে পরাজিত হন নি।

Leave a Reply