যেহেতু হেযবুত তওহীদ একটি অরাজনীতিক সংস্কারমূলক আন্দোলন, তাই মাননীয় এমামুয্যামান এ আন্দোলন গঠন করার পর থেকে আজ পর্যন্ত সর্বশ্রেণির হাজার হাজার লোক এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছেন। অনেকে কেবল সমর্থন দিয়েছেন, অনেকে এ সত্য প্রচারে নিজেদেরকে নিয়োজিত করেছেন। অনেকে শুরু থেকে আজ অবধি সক্রিয়ভাবে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছেন। এই নিষ্ক্রিয়তার পেছনে বড় কারণ হচ্ছে, হেযবুত তওহীদের কাজ স্বতস্ফূর্তভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে নিয়োজিত করে করতে হয়। এটা ইসলামের নীতি যে, ইসলামের কাজ করে, এবাদত করে এর কোনো পার্থিব বিনিময় গ্রহণ করা যাবে না। নিজের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে, সময় দিয়ে কাজ করতে হয়। হেযবুত তওহীদে সক্রিয়ভাবে টিকে থাকতে হলে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাাঁড়ায়।
অতি সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি যখন আমরা ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান নিয়ে মাঠে নেমেছি, বইসহ অন্যান্য প্রকাশনার পাশাপাশি পত্রিকা আর ডকুমেন্টারি ফিল্ম নিয়ে কাজ করছি, আমাদের বক্তব্য যখন সাধারণ মানুষ সরাসরি জানতে পারছে তখন এ দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ দু’হাত তুলে আমাদের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জানাচ্ছেন। পাশাপাশি অনলাইনেও আমরা বড় একটি জনগোষ্ঠীর ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তারাও আমাদের সমর্থন জানাচ্ছেন, অনুপ্রেরনা দিচ্ছেন। যদি জনসমর্থনের কথা বলেন এই লক্ষ লক্ষ জনতাও আমাদের অন্তর্ভুক্ত। যারা সত্যের পক্ষে দাঁড়ায়, তারাও সত্যের অংশীদার। তবে সক্রিয় সদস্য যারা সার্বক্ষণিকভাবে আন্দোলনের কাজ করছেন, তাদের সংখ্যাও হাজার হাজার।