এই প্রশ্নটা আমাদেরকে প্রায়ই করে থাকেন এবং করাটা খুব স্বাভাবিক। যহেতু অনেকগুলো ইসলামী সংগঠন আছে আমাদের দেশে যারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের থেকে অর্থ পেয়ে থাকেন। তাই আমাদের ক্ষেত্রেও এ প্রশ্নটি তোলা আমরা অযৌক্তিক মনে করি না। যার অর্থের উৎস গোপন এবং অবৈধ তার প্রতি কেউ নৈতিক আস্থা রাখবে না এটা স্বাভাবিক কথা।
আমরা আমাদের এমামুয্যামান থেকে যেটা শিখেছি তা হচ্ছে যে, মানুষের জীবন এবং সম্পদ অন্য মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার মধ্যেই রয়েছে মোমেনের জীবনের এবং মানুষের জীবনের ইহকাল এবং পরকালের সফলতা। মাননীয় এমামুয্যামানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্য মানুষের কল্যাণে, আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠার জন্য যারা ‘হেযবুত তওহীদ’ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তারা প্রায় সবাই সমাজের খেটে খাওয়া শ্রেণির দরিদ্র সাধারণ মানুষ, যাদের তিনবেলা অন্ন সংস্থান করাই কষ্ট হয়ে যায়। তথাপিও তারা তাদের উপার্জনের একটি বড় অংশ আন্দোলনের কাজে ব্যয় করে থাকেন এবং বিবিধ ফান্ডে জমা দেন। অতীতে যারাও বা কিছুটা অবস্থাসম্পন্ন ছিলেন বা ভালো চাকরি করতেন তাদের অধিকাংশই নিজেদের জমি-জমা, সম্পদ এমনকি ঘরবাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়ে মানবতার কল্যাণে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, তারাও এখন হকারি করে চলেন, রিক্সা চালান, কায়িক শ্রমের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং সেখান থেকেই আন্দোলনের ব্যয়ভার বহনে সহযোগিতা করেন। আমাদের এমামুয্যামানও তাঁর সমস্ত কিছু এ আন্দোলনের জন্য দান করে গেছেন। তারপর যখন কোনো সভা হয়, সেমিনার হয় বা কোনো বই ছাপানো দরকার হয়, হ্যান্ডবিল প্রয়োজন হয় তখন তারা উদ্যোগ নিয়ে টাকা তুলে তার ব্যয় নির্বাহ করছেন।
অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে আমরা নিজেরাই নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়েই মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এখন আমাদের এই উত্তরে যদি কেউ সন্তুষ্ট না হন তাহলে আমরা বলব, আপনি আমাদের সঙ্গে একটু থাকুন এবং স্বচক্ষে দেখুন; আমরা যা খাই সেটাই আপনারা খাবেন। দেখুন, আমরা আসলে কিভাবে আন্দোলনের কার্যক্রম পরিচালনা করি। বিদেশ থেকে অথবা কোনো বিশেষ মহল থেকে অর্থ আসে কিনা ইত্যাদি প্রশ্ন আল্লাহর রহম হেযবুত তওহীদের বেলায় চলে না। কারণ, হেযবুত তওহীদ পরিচালনার নীতি হিসেবে এমামুয্যামান শুরুতেই নিয়েছিলেন যে আমরা বাহিরের কারও কাছ থেকে কোনরূপ অর্থ গ্রহণ করব না। এ পর্যন্ত আল্লাহর রহমে আমরা বাহিরের কারও কাছ থেকে এক পয়সাও নেই নি। তার অর্থ এই নয় মানবতার কাজ আমাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে অন্য অর্থসম্পন্ন লোকেরা করতে পারবেন না। অবশ্যই পারবেন। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের বিনিময়ে কোনো অর্থ নিব না। আয় রোজগারের ক্ষেত্রে আন্দোলনের নীতি হল কর্মক্ষম আমাদের কেউ বেকার থাকতে পারবে না, তাদেরকে কোন না কোন কর্ম করতে হবে। এজন্য এখানে অবৈধ অর্থের আগমন অসম্ভব ইনশাআল্লাহ।