ইসলামি রাষ্ট্র বলতে মানুষ বুঝে দাড়ি-টুপি, নামাজ, রোজা সুর করে কোর’আন তেলাওয়াত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এগুলো মানুষ মনে করে ইসলাম। আর ইসলামি শাসন বলতে এখন মানুষ বুঝে তালেবানি শাসন মোল্লা ওমরের শাসন, সৌদি আরবের শাসন- এগুলোকে মানুষ মনে করে ইসলামি শাসন। আর ইসলামি দল বলতে এখন দু রকমের দল বোঝানো হয় যারা ইসলামের নামে রাজনীতি করে, যারা ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ করে। কাজেই ইসলাম বলতে এখন মানুষের মনে যে ধারণাটা আসে সেটা নিয়ে আমাদের ব্যাখ্যা ও বিশ্বাস একটু ভিন্ন। প্রচলিত যে ইসলামি রাষ্ট্র, এমন রাষ্ট্র আমরা চাই না। আমাদের ধারণা মোতাবেক ইসলাম হলো শান্তি। এটা এমন একটি সিস্টেম যা প্রয়োগ করার ফলে ন্যায় সুবিচার শান্তি আসবে সেই ১৪০০ বছর আগে যেটা হয়েছিল। মানুষ যেন দরজা খুলে ঘুমাতে পারে, মানুষ যেন নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে পথ চলতে পারে। তাদের সকল মানবাধিকার রক্ষিত হবে, তাদের অবাধে কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে। এমন একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থার নামই হলো ইসলাম। আমরা সেই ইসলাম চাই। জাতিসংঘ তৈরি হয়েছে এই ইসলামের জন্য অর্থাৎ শান্তির জন্য। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি ইসলামের জন্য, মানে শান্তির জন্য। কাজেই ইসলাম প্রিয় মানুষ কিন্তু পৃথিবীতে সিংহভাগ, দাঙ্গাপ্রিয় লোক অল্প। ঐ অর্থে আমরা ইসলাম চাই, মানে শান্তি চাই। ইসলামে জোর করার কোনো জায়গা নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক জায়গায় মাথা থেকে পা পর্যন্ত নির্দিষ্ট আকারের বোরখায় আবৃত না করলে বেত্রাঘাত করা হতো, আরবে এখনো নির্দিষ্ট ড্রেসকোড বাধ্যতামূলক। পুলিশ বাহিনী রাখা হয়েছে, কেউ নামাযে না গেলে পিটানো হয়, জোর করে নামাজে দাঁড় করে দেওয়া হয়। এটাতো ইসলাম না। এমন ইসলাম সৃষ্টি করা হয়েছে পরবর্তীতে। এসব জোর জবরদস্তির কারণেই তো মানুষের মন থেকে ইসলাম উঠে গেছে। ইসলাম বলতে তারা এখন জবরদস্তিই মনে করে, আফগানিস্তান মনে করে। কিন্তু প্রকৃত ইসলাম হলো উদারনৈতিক ব্যবস্থা। কিন্তু আমরা এখন বলিষ্ঠভাবে বলতে চাই, বেত দিয়ে পিটিয়ে নামাজে নেওয়া, মেয়েদেরকে বোরখা পরতে বাধ্য করা, জোর করে দাড়ি রাখাতে হবে, দাড়ি না রাখলে সেনাবাহিনীতে জায়গা হবে না, ফুটবল ক্রিকেট খেলা যাবে না, গান গাওয়া, ছবি আঁকা যাবে না এসব ধ্যানধারণা ইসলাম সমর্থন করে না। কিন্তু এগুলোকেই ইসলাম বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিকৃত ইসলামের বিরুদ্ধেই আমাদের সংগ্রাম। আমরা এখন মানবজাতিকে বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষকে সত্যমিথ্যার পার্থক্য বুঝাচ্ছি, ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য বুঝাচ্ছি। এখন যদি আপনি বলেন ইসলামি রাষ্ট্র চান কি না, আমার কথা হলো যে রাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ হবে মানুষের সমস্ত অধিকার সে লাভ করবে এটাই ইসলামি রাষ্ট্র।
হেযবুত তওহীদ বাংলাদেশকে কী একটি ইসলামি রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চায়?
0
হেযবুত তাওহীদ
0 Subscribers
Submit Answer
1 Answers
Best Answer
0