মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী এবং হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম কোন মাদ্রাসায় পড়েছেন, ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বদানে তাদের যোগ্যতা কী?
আল্লাহ রসুলরে সময় র্বতমানের মতো কোনো মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা ছলি না। সুতরাং মাদ্রাসায় না পড়লইে যে ইসলাম সর্ম্পকে কথা বলতে পারবে না, এমন ধারণা অযৌক্তকি। র্বতমানে মুসলমি বিশ্বে যে মাদ্রাসাগুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো আল্লাহর নাজেল করা প্রকৃত ইসলাম শিক্ষার প্রতিষ্ঠান নয়। এটা হলো একটি বিকৃত ব্যবস্থার মাধ্যমে মুসলিম জাতিকে রাজনীতিক ও র্ধমীয় নানা মতে পথে বিভক্ত করে পদানত করে রাখার একটি ব্রিটিশ ষড়যন্ত্র। ব্রিটিশরা যখন আমাদেরকে পদানত করেছিল তখন তারা আমাদেরকে একটি বিকৃত ইসলাম শিক্ষা দায়েরের জন্য এই মাদ্রাসাগুলো প্রতিষ্ঠা করছেলি, তারাই এর সিলেবাস কারিকুলাম সব তৈরি করছিল।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমরা যেন আর কোনোদিন ইসলামের সেই নীতি আদর্শের দিকে ফিরে না যাই, শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করতে না পারি। ব্রিটিশদের তৈরি বিকৃত ইসলাম শিখেই মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে এসেছে ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি, বিকৃত ইসলামের আলেমরা। যারা ফতোয়াবাজী, মাসলা-মাসায়েল, ফেরকা-মাযহাব ইত্যাদি নিয়ে নিজেরা দ্বন্দ্ব, বাহাসে, দলাদলিতে লিপ্ত থাকে। দেশ জাতি ধ্বংস হয়ে গেলেও সেদিকে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ থাকে না। তারা কোনোদিন মানবতার কল্যাণে এতটুকু ভুমিকা রাখতে পারে নি। হয়তো দু একজন ব্যতিক্রম থাকতে পারেন যারা মানবতার মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন তবে সেটা অন্য কোনো মহান ব্যক্তির দ্বারা দীক্ষিত ও অনুপ্রাণিত হয়ে, মাদ্রাসার শিক্ষার প্রভাবে নয়। ধর্মব্যবসা করেই তাদের জীবন চলে। সুতরাং এসব মাদ্রাসায় যে আমরা পড়ি নাই এ জন্য আল্লাহর শোকর। আমাদের এমামুয্যামান ও মাননীয় এমামের যোগ্যতা হলো- তাদেরকে আল্লাহ রব্বুল আলামিন সত্য মিথ্যার পার্থক্য করার জ্ঞান দান করেছেন এবং সত্য পথে সংগ্রাম করার তওফিক দান করেছেন। এ থেকে বড় যোগ্যতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর নাই।