আল্লাহ তাঁর শেষ নবীর উপর যে জীবনব্যবস্থাটি দান করেছেন সেটি তিনি কোনো গোত্রের জন্য দেন নি, দিয়েছেন সমগ্র মানবজাতির জন্য। তিনি চান মানবজাতি ঐক্যবদ্ধ হোক, তারা এক জাতিভুক্ত হয়ে এক পরিবারের মত বসবাস করুক। মানবজাতিকে তার কাক্ষিত শান্তির সন্ধান দিতে আল্লাহর রসুল উম্মতে মোহাম্মদী জাতিটিকে সৃষ্টি করেছিলেন। উম্মতে মোহাম্মদীর কাজই হচ্ছে আল্লাহর অভিপ্রায় মোতাবেক সমগ্র মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি মহাজাতি তৈরি করা। ইসলামের কনসেপ্ট হচ্ছে, পুরো মানবজাতি একটা জাতি হবে, তারা ন্যায়ের পক্ষে অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে থাকবে। তাদের নেতা থাকবে একজন। যে কোনো ঐক্য রক্ষা করতে হলে একজন নেতা থাকতে হয়- এটা প্রাকৃতিক নিয়ম। সেভাবেই এ জাতিটা তৈরি হয়েছিল। রসুলাল্লাহর এন্তেকালের পর আবু বকর (রা.) হয়েছিলেন সেই জাতির নেতা বা এমাম। আবু বকর (রা.) চলে যাওয়ার পর ওমর (রা.), ওমর (রা.) চলে যাওয়ার পরে ওসমান (রা.)। তারপর থেকেই ইসলামের ইতিহাসে কয়েকটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটলো, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী জাতির ভিতরে ঐক্য নষ্ট করে দিল, ক্রমান্বয়ে সিয়া সুন্নি ফেরকা সৃষ্টি হলো। এ জাতির মধ্যে কখনো এই দুঃখজনক বিভক্তি সৃষ্টি হওয়া উচিত ছিল না। যাই হোক জাতিটা ভাঙতে ভাঙতে আজকে যে অবস্থায় এসেছে যে মুসলিম এখন আর কোনো জাতিসত্তা নয়। যাঁকে কেন্দ্র করে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব এমন কোনো নেতাও এ জাতির নেই, যে নেতা আমাদের জাতীয় ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক সবকিছু ব্যবহারে নেতৃত্ব দেবেন এমন কেউ নেই। অথচ এটা ছাড়া জাতির অস্তিত্ব টেকে না। আপনারা আরো জানেন যে সুরা ‘ইসরাইলের’ ৭১ নং আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন যে, “সেই দিন প্রত্যেক জাতিকে তাদের ইমামের অর্থাৎ নেতার সাথে ডাকা হবে।” আল্লাহ এই শৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন, তিনি সে মোতাবেকই হাশরের দিনে প্রত্যেক জাতিকে তাদের নেতার নেতৃত্বে আহ্বান করবেন। আমরা যাঁর মাধ্যমে সত্য পেয়েছি, যিনি আমাদেরকে ইহ ও পারলোকিক জীবনে শান্তিলাভের সঠিক পথ দেখিয়েছেন, অর্থাৎ আমাদের এমামুয্যামান, আমরা চাই আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর সঙ্গে ডাকুন, আমরা তাঁকে আমাদের এ যামানার এমাম, এ সময়ের নেতা হিসাবে মেনে নিয়েছি।
মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী এমামুয্যামান কীভাবে হলেন?
0
হেযবুত তাওহীদ
0 Subscribers
Submit Answer
1 Answers
Best Answer
0