হুমায়ুন খান পন্নী স্বাধীনতার বিরোধী ছিলেন, মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী সর্ম্পকে বলুন।
পন্নী পরিবারের দুটি ভাগ। তাঁদের বংশের অনেকেই ওলি আল্লাহ ছিলেন, আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন। আবার অনেকে উপমহাদেশের পরিচিত রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ভারতের বিখ্যাত সুফি সাধক সৈয়দ খাজা মোহাম্মদ হোসাইনী গেসুদারাজ বন্দে নেওয়াজ (র.) (১৩২১-১৪২২), টাঙ্গাইলের হযরত মুঈন খান পন্নী (র.) ছিলেন এমামুয্যামানের পূর্বপুরুষ। উপমহাদেশের বিখ্যাত সাধক হায়দার আলী খান পন্নী (রহ.) ছিলেন এমামুযযামানের দাদাজান। তাঁরা চিরকালই মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। প্রখ্যাত দানবীর ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ওরফে চান মিয়া ছিলেন এমামুয্যামানের দাদার বড় ভাই। পন্নী পরিবার অনেক বড়। একটা বড় পরিবারে বিভিন্ন মতের বিভিন্ন চরিত্রের মানুষ থাকে। এখানে অনেকেই আছেন যাদের মধ্যে কে বিএনপি করেন, কে আওয়ামী লীগ করেন, কে বিদেশে গিয়ে কী করছেন এগুলো তো এমামুয্যামানের উপর বর্তানোর কোনো মানে হয় না। এটা ইতিহাস যে, তৎকালীন আরবের কোরাইশ বংশে আল্লাহর রসুল এসেছেন। মক্কার সবচাইতে সম্ভ্রান্ত পরিবার কোরাইশ আপনারা জানেন। তারা কাবা নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেই কোরাইশ বংশের আবু লাহাব, আবু জাহেল, ওতবা, শায়েবা এমন এমন জঘন্য কাজ করেছেন যে তারা ঐতিহাসিকভাবে ঘৃণিত হচ্ছেন। তারা কাবাকে অপবিত্র করেছেন। তাদের কেউ কেউ রসুলাল্লাহর আপন চাচা। কিন্তু তাদের দুষ্কর্ম কি আল্লাহর রসুলের উপর বর্তাবে? রসুলাল্লাহ ছিলেন মক্কার সেই কোরাইশদের থেকে আলাদা। সেই কোরাইশরা আল্লাহ রসুলকে বলতো আল-আমিন, আস-সাদেক, সত্যবাদী। তিনি কখনও মিথ্যা বলতে পারেন না, ওয়াদা নষ্ট করেন না, কারও হক নষ্ট করেন না, তিনি ন্যায় নীতিবান। মানুষের কল্যাণের চিন্তাই তিনি সবসময় করেন। আমাদের এমামুয্যামানও তাঁর পরিবারের মধ্যে সত্যবাদী, আল্লাহর পছন্দনীয় চরিত্রবান ও সাহায্যপ্রাপ্ত ছিলেন। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের শাসনকার্য পরিচালনা, আধ্যাত্মিক ও রাজনীতিক কর্মকাণ্ডের ইতিহাস হাজার বছরের। এমন একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান এমামুয্যামান বংশের অন্য অনেকের থেকে একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির ছিলেন, এ কথা তাঁর পরিবার ও পরিচিত মহলের সকলেই জানেন।
কার মধ্যে মাহদী বা ঈসা বিরাজ করছেন সেটাতো বলা যায় না, সে জন্য সত্যসন্ধানীরা অনুসন্ধান বা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে পারেন। তবে আমরা মনে করি তাঁরা কবে আসবেন সে আশায় নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকাকে ইসলাম সমর্থন করে না। পৃথিবীতে চলমান সঙ্কট থেকে মানুষকে উদ্ধারের জন্য সব সময় প্রচেষ্টা থাকা উচিত। কবে এমাম মাহদী (আ.) আসবেন আর এলান করবেন, তখন দলে দলে মানুষ তার দলে যোগদান করে পৃথিবীকে পরিবর্তন করে ফেলবেন, সে সময় কবে আসবে তা আমরা জানি না। আমাদের কাছে মাননীয় এমামুয্যামান যে পন্থা তুলে ধরেছেন তা মহাসত্য, তা দিয়ে মানবজাতির সঙ্কট নিরসন করা সম্ভব হবে। তাই আমরা সে চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করেছি।