সমাজে যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না অর্থাৎ নাস্তিকরা তাদের মতবাদ প্রকাশ করবে, হেযবুত তওহীদ কী তাদের এ স্বাধীনতা দিবেন?
মানুষকে আল্লাহ কণ্ঠ দিয়েছেন বলার স্বাধীনতা দিয়েছেন। মানুষ কথা বলবে। মানুষকে আল্লাহ লেখার স্বাধীনতা দিয়েছেন। মানুষ লিখবে। মানুষকে চিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছেন, তাই মানুষ যে কোনো বিষয়ে চিন্তা করবে। এসব স্বাধীনতা আল্লাহ প্রদত্ত স্বাধীনতা, এতে কারোর হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। বাক-স্বাধীনতার সংজ্ঞায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, সমগ্র জাতির মতের বিরুদ্ধেও যদি আমার কিছু বলার থাকে সেটা আমি নির্ভয়ে বলতে পারব, এজন্য আমার কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না। এই বাক-স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি, এবং একমাত্র সত্য ইসলাম এই স্বাধীনতা দিতে পারে। আর কেউ দিতে পারবে না, যদিও সবাই দাবি করে থাকে। যাই হোক, এই স্বাধীনতার মানে কিন্তু এটা নয় যে, আমি মিথ্যা কথা বলব। মিথ্যা কথা বলার অধিকার অবশ্যই বাক-স্বাধীনতা নয়। আপনি যদি কারো প্রতি অপবাদ আরোপ করেন এবং সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তবে অবশ্যই আপনাকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। এখন আমরা প্রায়ই দেখি, মিডিয়ায় তিলকে তাল বানানো হয়, মানুষের কথাকে টুইস্ট করে বা অফ দ্যা রেকর্ড কথা প্রকাশ করা হয়, গোপনীয় বিষয় খুঁজে বের করা হয়, এভাবে মানুষের সারাজীবনের অর্জিত মান-সম্মান ধূলায় মিশে যায়। এটাও স্বাধীনতা নয়। এভাবে অন্যের মানহানি করা, জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা, এসবের অনুমতি কোনো জীবনবব্যস্থাই দেয় না। হ্যাঁ, কেউ যদি ইসলামের বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত, সত্য ইতিহাসভিত্তিক, তথ্যবহুল কিছু লিখেন সেটার স্বাধীনতা অবশ্যই থাকবে, কেউ তার কলমকে বন্ধ করতে পারবে না। কিন্তু কেউ যদি কোনো ধর্মের নবী-রসুল বা অবতারকে নিয়ে অমর্যাদাসূচক মিথ্যাচার করে, যা সমাজের সাম্প্রদায়িক সহাবস্থানের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে সেটা নিশ্চয়ই বাক-স্বাধীনতা নয়, সেটা তথ্য-সন্ত্রাস। স্বাধীনতা তো সেটাই যেটা অন্যের স্বাধীনতাকেও সমুন্নত রাখে।