ধর্মব্যবসায়ী বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন?
যারা ধর্মের বিনিময় নেয় তারা সবাই ধর্মব্যবসায়ী । ধর্মের নামে কোনো বিনিময় চলে না। এটা একেবারে সুত্রের মতো মনে রাখতে হবে। আল্লাহ বলছেন শুয়োর খাওয়া হারাম, মৃত জন্তু খাওয়া হারাম, তারপর বলছেন নিরুপায় হলে তাও খেতে পারো। কিন্তু ধর্মের বিনিময় নেয়া একেবারে নিষেধ। এটা কোনোভাবে ক্ষমা করবেন না আল্লাহ এবং তাদেরকে পবিত্রও করবেন না আল্লাহ। সুরা বাকারার ১৭৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলছেন, “আল্লাহ যে কেতাব অবতীর্ণ করেছেন যারা তা গোপন করে এবং বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে তারা (১) নিজেদের পেটে আগুন ছাড়া কিছুই পুরে না, (২) কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না, (৩) আল্লাহ তাদের পবিত্রও করবেন না, (৪) তারা ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করেছে, (৫) তারা হেদায়াতের পরিবর্তে পথভ্রষ্টতা বা গোমরাহী ক্রয় করেছে, (৬) তারা দীন সম্পর্কে ঘোরতর মতভেদে লিপ্ত আছে (৭) আগুন সহ্য করতে তারা কতই না ধৈর্যশীল”। সুতরাং ধর্মকে স্বার্থহাসিলের উপায় বানানোর ব্যাপারে ইসলামে কোনো শিথিলতা নেই। কারণ এটা করলে ধর্মই বিকৃত হয়ে যাবে, মানুষ আর সঠিক পথ পাবে না, মুক্তির পথ পাবে না। ভুল পথে চলতে বাধ্য হবে, সে দুনিয়াও হারাবে আখেরাতও হারাবে। তাই ধর্মের কাজ হবে সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে। এ ধর্মের কাজ করে একেবারে শুরুতে নামাজ পড়িয়ে, ওয়াজ করিয়ে, মুর্দা দাফন করিয়ে, এখান থেকে শুরু করে একেবারে রাজনীতি পর্যন্ত যে অঙ্গনেই হোক ধর্মের কাজ করে পার্থিব স্বার্থ হাসিল করবে সেই ধর্মব্যবসায়ী।