হেযবুত তওহীদকে আওয়ামী লীগের দালাল বলা হয় কেন?

0
হেযবুত তাওহীদ
Feb 26, 2023 04:37 PM 1 Answers হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে দালালির অভিযোগ প্রসঙ্গে
Member Since Jul 2022
Subscribed Subscribe Not subscribe
Flag(0)

হেযবুত তওহীদকে আওয়ামী লীগের দালাল বলা হয় কেন?

0 Subscribers
Submit Answer
Please login to submit answer.
1 Answers
Best Answer
0
হেযবুত তাওহীদ
Feb 26, 2023
Flag(0)

আমরা ষোলো কোটি মানুষকে ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই এ কাজটা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এটা একটা জাতির কাজ, জাতিগত কাজ। জাতির কর্ণধার হিসাবে আমরা সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে আমাদের মিটিংগুলোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, যেন তারা এই কাজের গুরুত্ব বুঝে সেটাকে বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগী হন। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ না হয়ে যে কোনো সরকার থাকলেও এটাই করতাম। আমরা তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে, চিঠি দিয়ে, আলোচনা করে সর্ব উপায়ে বোঝাতে চেয়েছি যে, দেশের ষোলো কোটি মানুষ যদি দাঙ্গা হাঙ্গামার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়, তারা যদি সর্বপ্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোকে ধর্মীয় দায়িত্ব বলে মনে করে তাহলে ধর্মব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম আর থাকবে না, ধর্মের অপব্যবহার বন্ধ হবে, মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে পারবে, আইন শৃঙ্খলা উদ্ধার হবে, মানুষের উন্নতি অগ্রগতি হবে। আবার সরকারি দল হিসাবে আওয়ামী লীগকেও বলছি যে, আপনারা ৬৫ বছরের পুরানো একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনীতিক দল। ১৯৭১ সালের মত একটা যুদ্ধ পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আপনাদের রয়েছে। ৭০ সালের নির্বাচনে দেশের আপামর জনসাধারণ আপনাদেরকে একটা শান্তিপূর্ণ দেশ গঠনের জন্য সমর্থন দিয়েছিল। পাকিস্তানি শাসকদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনারা আন্দোলন করেছেন, যুদ্ধ করেছেন। এখনও আপনারা ক্ষমতায় আছেন। কাজেই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব ও কর্তব্য কিন্তু আপনাদের উপর বর্তায়। আপনাদেরকেও কিন্তু প্রচুর নাস্তিক্যবাদের অপবাদ দেওয়া হয়েছিল, যেজন্য আপানাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বিনষ্ট হয়েছে। কাজেই আপনারা যদি ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাটা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেন তখন আপনারা সবদিক দিয়েই লাভবান হবেন, জাতিও লাভবান হবে। এর বিনিময়ে আমরা আওয়ামী লীগের থেকে একটি পয়সাও আসা করি না, দিলেও নেব না। কোনো রাজনীতিক স্বার্থও আমাদের নেই, তাদের ক্ষমতার অংশীদার হওয়ারও শখ আমাদের নেই। এই দেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে, সেই দায়বদ্ধতা থেকে আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে এসেছি, কারণ দেশের সঙ্কট সমাধান করার উপায় আমাদের কাছে আছে। আমাদের এ অনুভূতিটা অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ভালো দৃষ্টিতে দেখেছেন এবং আমাদের কাজে সহযোগিতা করেছেন। এখন যুগটাই এমন যে, কেউ যে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের ভালোর জন্য কোনো কাজ করবে সে কল্পনাই কেউ করতে পারে না। করতে গেলে তাকে সন্দেহ করা হয় যে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো মতলব আছে। আমরাও এমনই সন্দেহের শিকার। এমনিভাবেই সন্দেহ করা হচ্ছে যে, আজ আমরা আওয়ামী লীগ সরাকারের সঙ্গে আছি, কাল তারা তারা ক্ষমতায় না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে চলে যাব। এটা বলতে পারতেন যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের কোনো স্বার্থের সম্পর্ক থাকত। সেটা যখন নেই, তখন আমরা এটুকু বলতে পারি, আমরা যে সত্য নিয়ে দাঁড়িয়েছি যারা এর সাহায্যকারী হয়েছে এবং সাহায্যকারী থাকবে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেবল এ জগতেই নয়, পরজগতেও বজায় থাকবে এনশাআল্লাহ। এখানে দল কোনো ফ্যাক্টর নয়, আদর্শটা ফ্যাক্টর।

হেযবুত তওহীদ গত কুড়ি বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এই কুড়ি বছরে সরকার কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে কয়েকটা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও এসেছে, সামরিক সরকারও এসেছে, দুইদলও ক্ষমতায় ক্ষমতায় এসেছে, আমরা সকলের সঙ্গেই কাজ করেছি। জঙ্গিবাদ মোকাবেলার ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করার প্রস্তাবনা যখন এমামুয্যামান দিয়েছিলেন তখন ২০০৮ সন। তখন কি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল? ছিল না। আরেকটা কথা হলো, বিভিন্ন মহল থেকে সরকারকে আমাদের বিষয়ে ভুল বুঝানো হয়, যার জন্য আমাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক আমরা তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থাকতে চাই যেন কেউ তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের কাজকে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে।

Sign in to Reply
Replying as Submit

Leave a Reply