হেযবুত তওহীদ কি মসজিদকে গুরুত্বহীন মনে করে?

0
হেযবুত তাওহীদ
Feb 26, 2023 04:51 PM 1 Answers ধর্মব্যবসা বিষয়ে হেযবুত তওহীদের মতামত
Member Since Jul 2022
Subscribed Subscribe Not subscribe
Flag(0)

হেযবুত তওহীদের কর্মকাণ্ডে মসজিদকে কী গুরুত্বহীন মনে করা হয়?

0 Subscribers
Submit Answer
Please login to submit answer.
1 Answers
Best Answer
0
হেযবুত তাওহীদ
Feb 26, 2023
Flag(0)

আমাদের কর্মকাণ্ডে মসজিদকে গুরুত্বহীন করা হয় না। পত্রিকাতে আমরা বলেছি, মসজিদের উদ্দেশ্য কী এবং আজানের উদ্দেশ্য কী। উদ্দেশ্যহীন সবকিছুই নিষ্ফল, ব্যর্থ।

প্রথম কথা হলো, মসজিদ নিয়ে হেযবুত তওহীদের কোনো নেতিবাচক বক্তব্য নেই। কিন্তু মসজিদ কেমন হওয়া উচিত ছিল সেটা আমরা তুলে ধরছি। মসজিদ হলো মুসলিম জাতির সমস্ত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। প্রশাসনিক, শাসনব্যবস্থা, আইন-কানুন থেকে সালাহ সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু মসজিদ। কিন্তু সেই মসজিদ হয়ে গেছে আজকে নিষ্প্রাণ। শুধু নির্দিষ্ট কয়েক মিনিট নামায পড়ানো হয়, অধিকাংশ সময় তালা মারা থাকে। ওইখানে যারা নামায পড়াচ্ছেন, তারা ধর্মের বিনিময়ে টাকা নিচ্ছেন, টাকার বিনিময় নামায পড়াচ্ছেন, আমরা তাদের পেছনে নামায পড়ি না। এজন্যই প্রশ্নটি উঠেছে যে, আমরা মসজিদকে গুরুত্বহীন মনে করি কিনা। কাবাঘর আল্লাহর ঘর, কিন্তু মক্কার কাফের মোশরেকরা এই পবিত্র ঘরে তিনশ ষাটটি প্রতিমা স্থাপন করে এই গৃহকে অসম্মান ও অপবিত্র করেছিল। তারা কাবাগৃহকে নিজেদের ব্যবসার মাধ্যমে পরিণত করেছিল। কোরায়েশ নেতৃবৃন্দ রসুলাল্লাহর আহ্বানে সাড়া দেননি এর প্রধান কারণ ছিল তাদের কাবাকেন্দ্রিক ধর্মব্যবসা তাতে বন্ধ হয়ে যাবে। রসুলাল্লাহ সেই মূর্তি অপসারণ করে ধর্মব্যবসায়ীদের হাত থেকে, শেরকের হাত থেকে কাবাকে পুনরুদ্ধার করেন। একইভাবে মসজিদ আজ ধর্মব্যবসায়ীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। এই ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। এইজন্য ধর্মব্যবসায়ীরা আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে থাকেন। কিন্তু আমরা যে একেবারে মসজিদে যাই না তা নয়, ব্যক্তিগতভাবে সালাহ করার জন্য আমরা প্রয়োজনে মসজিদে যাই, কিন্তু ধর্মব্যবসায়ীরেদ পেছনে নামায পড়ি না। তবে যে মসজিদের এমাম সাহেব অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আল্লাহর নাজেল করা সত্যের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, হকের পক্ষে অবস্থান নেবেন এবং যিনি ধর্মব্যবসা করবেন না, ধর্মের বিনিময় নিবেন না, টাকা ছাড়া নামায পড়াবেন, এমন এমাম হলে তার পেছনে নামায পড়তে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা আরও খুশি, আনন্দিত হবো। আমরা ঐটাই চাই। সুতরাং আমরা মসজিদ অপছন্দ করি না, কিন্তু দুইটি কারণে আমরা মসজিদকেন্দ্রিক নই। প্রথমত, ইসলামের ধারণা মোতাবেক মসজিদ হবে জাতির সমস্ত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু, যেটা বর্তমানে নেই। সুতরাং এই মসজিদ ইসলামের প্রকৃত মসজিদ নয়। দ্বিতীয়ত, মসজিদ আজ যাদের দখলে, সেই পেশাদার ধর্মীয় নেতারা মুমিন না। মুমিন হতে হয় জান-মাল দিয়ে, যে নেবে সে মোমেন হতে পারবে না। যদি তারা আল্লাহর দেওয়া সংজ্ঞা মোতাবেক মুমিন হন তবে তাদের পেছনে নামায পড়বো, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে, কোনো ইট-পাথরের ঘর-বাড়িকে নিয়ে কোনো কথা নাই, সেটা দিয়ে কী হচ্ছে? এইটা আসল কথা।

Sign in to Reply
Replying as Submit

Leave a Reply