হেযবুত তওহীদ ঢালাওভাবে জাতিকে কাফের, মোশরেক বলছে না। হেযবুত তওহীদ বলছে, জাতি কার্যত কাফের-মোশরেক হয়ে গেছে। এখানে কিন্তু আলেমরা দুটো ভাগ করেছেন, যেমন শেরকের ক্ষেত্রে বলা হয় আমলগত শেরক আর বিশ্বাসগত শেরক। আমরা বলি, জাতির যে ব্যক্তিগণ আল্লাহকে বিশ্বাস করেন, যারা অন্যান্য বাধ্যতামূলক বিষয় যেমন নবী-রসুল, কেতাব, হাশর, তকদির ইত্যাদিতে বিশ্বাস করেন তারা বিশ্বাসগতভাবে মুমিন দাবি করতে পারেন, কিন্তু তাদের আমল বা কাজকে বিবেচনায় নিলে অর্থাৎ কার্যত তারা কাফের ও মোশরেক ছাড়া কিছুই না। মক্কার কাফেররাও কিন্তু তাদের মত আল্লাহয় বিশ্বাস করতো, নামাজ, রোযা, হজ্ব, কোরবানি ইত্যাদি আমল করত, কিন্তু জাতীয় জীবনে আল্লাহর বিধান মানতো না, তাই তারা কাফের মোশরেক ছিল। একইভাবে এই জাতিটিরও আল্লাহ-রসুলের প্রতি বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও, কার্যত তারা কাফের। কারণ তারা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও দীনকে প্রত্যাখ্যান করে পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতার তৈরি জীবনব্যবস্থা ও মূল্যবোধকে জাতিগতভাবে বরণ করে নিয়েছে। জাতীয় জীবনে আল্লাহর হুকুম প্রত্যাখান করার কারণে এরা কাফের হয়ে গেছে। এটা আমাদের কথা না, আল্লাহর কথা এবং আল্লাহর রসুল যে কারণে আবু জাহেল, আবু লাহাবদের কাফের বলেছেন সেই একই কারণে আমরা এ জাতিকে কার্যত কাফের ও মোশরেক বলছি।
হেযবুত তওহীদ ঢালাওভাবে জাতিকে কাফের, মোশরেক বলছেন কেন?
0
হেযবুত তাওহীদ
0 Subscribers
Submit Answer
1 Answers
Best Answer
0